মলয় দে নদীয়া:- জেলার একটা বড় অংশ জুড়ে তাঁত, রেডিমেড বস্ত্র উৎপাদন, বিপননের কাজে যুক্ত । মুর্শিদাবাদ বেলডাঙ্গা,চাকদহ, রানাঘাট আঁশতলা,বেথুয়াডহরী,দেবগ্রাম, শান্তিপুরের চারটির মধ্যে বেশিরভাগই হাট বন্ধ আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত। বাকী দু একটি খোলা হাটও অনিশ্চয়তা র মধ্যে। সামনেই চৈত্রের সেল, সারা বছরের বকেয়া ঋন পরিশোধ হয়, কমদামে ব্যপকবিক্রির মাধ্যমে।একবছর ধরে জমানো মাল আগামী বছর বিক্রয় হবে , তাও বলা যায় না নিশ্চিত করে।
দোল উৎসব কে কেন্দ্র করে এ মরশুমে অনেক মেলায় দোকান দিয়ে রুজিরোজগার করেন জেলার আরেকটি বড় অংশ,তাতেও ভাঁটা করোনা বিপর্যয়ে। হরিণঘাটা ডাকবাংলো মাঠে বাসন্তী পূজা র মেলা,বেথুয়া র অগ্রদীপের মেলা, কৃত্তিবাস রামনবমীর মেলা সহ একাধিক মেলা বন্ধ। কল্যাণী সতীমায়ের মেলায় ১৫ দিন চলার বদলে মাঝপথে এক সপ্তাহের মধ্যেই হতাশ হয়ে ফিরে আসে বিক্রেতারা।
জেলার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ী, নবদ্বীপ, মায়াপুর ইষ্কন,ফুলিয়া কৃত্তিবাসসহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে ভীড় না থাকায়, সংশ্লিষ্ট দোকানদার দের মাথায় হাত।
পরিবহন কর্মীদের সর্ববৃহৎ অংশ টোটো ,টুকটুকি, অটো ট্রেকার, যাত্রীছাড়াই ঘুরছে আশায় বুক বেঁধে। ট্রেন বাসের অবস্থায় করুন করোনার প্রভাবে। পোল্ট্রি ও মাছ বিক্রেতা তো গুজবেই সর্বশান্ত হয়েছিল সর্বপ্রথম।
এরকম পরিস্থিতিতে সারা জেলায় মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক জনসাধারণকে ৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ঋন প্রদান করা ছোটোখাটো ব্যঙ্ক,মাইক্রোফাইন্যান্স কম্পানিগুলো তাদের ইয়ার এন্ডিং এ ভাঁটা রূখতে চাপ বাড়াচ্ছে ক্রমাগত।
একদিকে রুজিরোজগার বন্ধ , অন্যদিকে ঋনদাতার চাপ! কত দিন সইতে পারবে নিম্ন মধ্যবিত্তের দিন আনা দিন খাওয়া জনসাধারণ??
জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা,সচীবের ভূলে নবান্নে লক্ষ লক্ষ টাকার জীবাণুমুক্ত করন। আর সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের কাছে ১০ টাকার মাস্ক পৌঁছাচ্ছে দ্বিগুণ দামে! ত্রাণ, সরকারি সহযোগিতা কোথায়?