নিউজ সোশ্যাল বার্তা: সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘ অনুমোদিত শিবনিবাস আঞ্চলিক কমিটির প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক এর তারকনগরে স্টেশন সংলগ্ন ও দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো বগুলা সন্নিকটস্থ বংশীনগরে ।
সম্মেলনে মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো । এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাভিপতি ও বনগাঁ কেন্দ্রের সাংসদ শ্রী শান্তনু ঠাকুর মহাশয়, উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া ছাত্র-যুব মতুয়া মহসংঘের সভাপতি তন্ময় বিশ্বাস ও সম্পাদক বিকাশ কীর্তনীয়া । নদীয়া জেলা মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক মুকুটমনি অধিকারী সহ মতুয়া মহাসংঘের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন শাখা সংগঠনের পদাধিকারীরা।
সম্মেলন প্রসঙ্গে বিকাশ কীর্তনীয়া বলেন “পূর্ণ ব্রহ্ম শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরই হলেন আমাদের এই পিছিয়ে পড়া নমঃশূদ্র (তপশিলি ) জাতির জনক ও মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক। ঠাকুরের নামে প্রেমে মাতোয়ারা যারা তারাই মতুয়া। ঠাকুর বলেছেন সমাজে যারা সামাজিক,আর্থিক, ও শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো মতুয়া সমাজের কর্তব্য। সে যে কোনো জাতির মানুষ ই হোক না কেনো “।
শিক্ষা আন্দোলনে গুরুচাঁদ ঠাকুরের অবদান ছিল অপরিসীম।। তিনি নিজ প্রচেষ্টায় ১৮১২ টি এবং ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতায় ৪০০০ এর অধিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রেও শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভূমিকা অপরিসীম।দলিত নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারের ও উন্নতি ঘটিয়ে পুরুষদের যোগ্যতা সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে তিনি এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন । তাঁর প্রচেষ্টায় অবিভক্ত বাংলায় অনেক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
তিনি আরো বলেন “দেশ ভাগের বলি পশ্চিম বঙ্গের ৪ কোটির কাছাকাছি ও সমগ্র ভারতে ৮ কোটির অধিক মতুয়া সম্প্রদায় মানুষ । বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমাদের এই উদ্বাস্তু সমাজের লোকেদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের স্বার্থে শুধু ভোট ব্যাংক এর রাজনীতি করেছে। দীর্ঘ ৭৩ বৎসর এর আন্দোলনের ফল স্বরূপ অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতী শ্রী শান্তনু ঠাকুরের ১০দফা দাবি কে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদী সরকার CAA বিল পাস করেছে”।
তিনি নদীয়া জেলা প্রসঙ্গে বলেন – নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী এই এলাকা । পূর্ববঙ্গের অনেক মানুষ আছেন যারা এখনও নাগরিকত্ব পাননি। সেই সমস্ত মানুষেরা যাতে নাগরিকত্ব পায় তার জন্য সরকারের কাছে আবেদন রেখেছি । মাননীয় সংঘাধিপতি ও সাংসদ বলেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মতুয়াদের সবার নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে” ।
সমাবেশে প্রায় ১৫ হাজার লোকের সমাগম হয়। আগামী ৯,১০, ও ১১ মার্চ ২০২০ বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজে মাঠে নদীয়া জেলা মতুয়া মহাসংঘ দ্বারা পরিচালিত ও ছাত্র যুব মতুয়া মহা সংঘের সহযোগিতায় এক বিশাল মতুয়া মহা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে লক্ষাধিক মতুয়াপ্রেমি ভক্তদের সমাগম ঘটবে বলে তিনি দাবী করেন ।