সংবাদকর্মীদের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কি নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী !

Social

মলয় দে নদীয়া:- “দিদিকে বলো”কর্মসূচির পর আগামী পৌরসভা নির্বাচন কে মাথায় রেখে প্রশান্ত কিশোরের নয়া কৌশল “বাংলার গর্ব মমতা” দোসরা মার্চ থেকে দশই মে পর্যন্ত চলবে। তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত এই কর্মসূচির মধ্যে নির্ধারিত দিনে

তৃণমূল কর্মী সম্মেলন, জলযোগে জনযোগ, স্বীকৃতি সম্মেলন, বঙ্গধ্বনী যাত্রা, সংহতি সভা, চেতনা সভা, বাংলার বার্তা, নবীনবরণ সভা ,বিশিষ্ট সম্মেলন, তৃণমূলের সাথে মান্যজন, তৃণমূল পদাতিক সম্মেলন, করার কথা নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এত গেলো দলীয় বিষয়!

কথা কি ভাবলেন তিনি? পঞ্চায়েত মেম্বার থেকে শুরু করে সংসদ পর্যন্ত 25 হাজারেরও বেশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, যে কোন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা বসার জায়গা পান না, নেতৃত্ব আলাপচারিতা করেন না, এমনকি তাদের ফোন পর্যন্ত ধরার সময় থাকে না জনপ্রতিনিধির। প্রত্যেক বিধায়কের একজন কো-অর্ডিনেটর ইতিমধ্যে আমার কাছে জমা পড়েছে, জনপ্রতিনিধি এবং কো-অর্ডিনেটর এর মিলিত কাজ, একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে স্থানীয় সকল সংবাদকর্মী বন্ধুদের যোগাযোগ স্থাপন করে, নিয়মিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র প্রেরণ, আলোচ্য বিষয়বস্তু, বক্তাদের তালিকা, অনুষ্ঠান সম্পর্কিত নানান তথ্য( ছবি ,ভিডিও,)ওই গ্রুপে প্রদান করা। সপ্তাহে অন্তত দুদিন ছোট হোক বা বড় প্রত্যেক সংবাদকর্মীর সাথে কুশল বিনিময় করা।

প্রতিটা মিটিংয়ে তাদের বসার আসন সুনির্দিষ্ট করা, ভিড় এড়িয়ে মঞ্চের কাছে আমন্ত্রণ জানানো, চা জল টিফিন সময় মত পৌছে দেওয়া, মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা থাকলে তাদের সাথে জনপ্রতিনিধির একসাথে বসে আহার করা। সাংবাদিক বন্ধুদের সরকার প্রদত্ত ভাতার সুবন্দোবস্ত করা।

Leave a Reply