হরিশ্চন্দ্রপুর,২৬ ফেব্রুয়ারি: ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্তের শিকার হলেন এক জুনিয়ার সাংবাদিক। এমনই অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকে।
জানা গেছে এদিন ৪ মার্চ মমতা ব্যানার্জির মালদা সফর উপলক্ষ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকে চলছিল প্রস্তুতি সভা। এই প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত অবজারভার, জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য,অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত প্রধান সহ সক্রিয় কর্মীরা।
প্রস্তুতি সভায় আলোচনা চলাকালীন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভাইস চেয়ারম্যান তজমুল হোসেনের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ হেবজুর রহমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে তজমুল হোসেন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সরগরম দেখে সাংবাদিক আসিরুদ্দিন ভিডিও করতে গেলে তাকে মারধর করে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের সভাপতি জুবেদা বিবির স্বামী আশরাফুল হক।
মহম্মদ হেবজুর রহমান জানান, সভায় উপস্থিত সদস্যদের অনুমতি ছাড়াই একাই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। তার একার মতামত জানতে চাইলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। এবং আশরাফুল হক তার তাকে ধাক্কা মারে বলে জানান। উত্তেজিত পরিস্থিতির ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিককেও মারধর করে তার মোবাইল ও ক্যামেরা কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। বিস্তারিত শুনুন:-
খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার আরো এক সাংবাদিক সাংবাদিক ছুটে গিয়ে মারধরের কারণ জানতে চাইলে আশরাফুল হক তাকেও মারধর করে বলে জানা যায়। এনিয়ে সাংবাদিক মহলে যথেষ্ট উত্তেজিত ছড়িয়ে পড়েছে।
জেলা পরিষদের সদস্য মমতাজ বেগম জানান, নিজেদের দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের রাগ সাংবাদিকের উপর একটা ঘৃণার কাজ।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, কি জন্য একজন সাংবাদিককে মারধর করা হলো তার সঠিক তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ডাক্তারবাবুরা দুই সাংবাদিককে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দিন।