নদীয়ার জলেশ্বর মন্দিরের ইতিকথা

Social

মলয় দে, নদীয়া ,:- প্রায় ৩৫০ বছর আগেও প্রচন্ড ক্ষরায় এলাকার ভক্তবৃন্দের মনস্কামনা পূর্ণ করে অঝোর ধারায় ঝরেছিল বৃষ্টি। সেই থেকেই জলেশ্বর। মহা শিবরাত্রি তিথিতে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা যায় নদীয়ার সবথেকে প্রাচীন জলেশ্বর মন্দিরে জানা যায় । নদীয়ার শান্তিপুরের জলেশ্বর তেলিপাড়ার শিব মন্দির নদীয়া রাজ রুদ্র রায়ের কনিষ্ঠপুত্র রাম কৃষ্ণের জননী প্রায় আঠারো শতকের মাঝামাঝি এটি প্রতিষ্ঠিত করেন বলে প্রচারিত এই মন্দিরের শিবলিঙ্গটি কালো পাথরের উচ্চতা প্রায় তিন ফুট চড়ক নীল উৎসব শিবরাত্রি ইত্যাদি তিথি গুলিতে প্রচুর ভক্তদের সমাগম হয় এই জলেশ্বর মন্দিরে।

মন্দিরটির গায়ে বহু পুরনো পোড়ামাটির মূর্তি ও অন্যান্য অলংকার সজ্জিত প্রাচীন এই মূর্তি বিষয়বস্তু পৌরাণিক যথা কৃষ্ণ লীলা গ্রীস্মের শরশয্যা মারিচ গরুর বাহন তীরন্দাজ বাধ্য হরগৌরী যুদ্ধ বন্দুক নিয়ে সেপাই ইত্যাদি। আজ শুভরাত্রি তিথিতে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো ।

অনেক নামিদামি ব্যক্তিদের হাজির হোন পুজো দিতে । এবছর শিবরাত্রিতে সাধারণ মানুষের ভিড়ের মধ্যেও উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য । ভক্তদের পাশাপাশি নিজেও প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতিমাকে বাইরে থেকেই দর্শন করেন । তিনি এও জানান, বিধায়ক হওয়ার পরেই প্রত্যেক বছরই এই পূর্ণ শিবরাত্রি তিথিতে এই জলেশ্বর মন্দিরে আসেন এবছরও একইভাবে মন্দিরে এসে পুজো দেন।

একসময় এই প্রাচীন মন্দিরে শিবলিঙ্গের নাম ছিল রুদ্র প্রান্ত পরে নাম হল রাঘবেশ্বর বর্তমানে এই মন্দিরটি জলেশ্বর নামে বিখ্যাত।

Leave a Reply