সোশ্যাল বার্তা: গরম যত বাড়ছে ব্লাক ব্যাংক গুলোতে রক্তের সংকট দেখা দিচ্ছে। রক্তদান শিবিরের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। যেমন ব্লাড সেন্টারে যেখানে মাসে ২০ টির বেশী ক্যাম্প হয় সেখানে মাত্র ৪ টি ক্যাম্প বুক হয়েছে। ফলে রক্তের যোগান দিতে সমস্যায় পড়ছে ব্লাড ব্যাংকের কর্মীরা।
নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বাচ্চু পল্লীর বাসিন্দা রেখা সরকার। দীর্ঘ দিন পেটে ব্যাথা ও লিভাবের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা যায়-ছোট সিস্ট রয়েছে গলব্লাডারে।গত কয়েক দিন আগে রেখাদেবী তার ভাইয়ের বাড়ি মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে যান এবং সেখানে গিয়ে ভীষন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান কার ডাক্তারও বলেন খুব শীঘ্র তার অপারেশন করানো দরকার। গলব্লাডারের পাথর গুলো বড় হতে শুরু করেছে। বাড়ি ফিরে আসার পর – তার মেয়ে জামাই রীতিমত গত সপ্তাহ খানেক ধরে – অপারেশনের আয়োজন করতে শুরু করে। কৃষ্ণনগরে নার্সিং হোমে ভর্তি করার পর রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় ভদ্র মহিলার ও নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত। নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে রক্তের জোগাড় করতে বলা হয়। সেই মত- গত সপ্তাহে সুমন বসাক ” Friend to Support ” থেকে কৃষ্ণনগর ঐকতানের সদস্য সুজয় ঘোষ কে ফোন করে। শিমুলতলার বাসিন্দা সমাজকর্মী – তুহিন গুপ্তকে ও জানায়।।
গত দু’দিন কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট ব্লাড সেন্টারে খোঁজ নিয়ে সারা দিন কাটিয়েও না পেয়ে ফিরতে হয়। অপারেশনের দিন ঠিক হয় ওইদিন।তাই গতকাল সকালে তুহিন গুপ্ত সুজয় ঘোষকে ফোন করা মাত্র সে প্রস্তুত হয়ে সুমনকে নিয়ে নবদ্বীপ রওনা দেয়। সুজয় ঘোষ কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ও কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সদস্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
নবদ্বীপ ব্লাড সেন্টারে একটি মাদার স্টক থাকলেও নবদ্বীপ SGH এরই একটি মুমূর্ষু রোগীর তা প্রয়োজন কিন্তু তাকে আজ রাতে দিলেই হবে বলে জানা যায়। সুজয়ের থেকে নেওয়া নেগেটিভ গ্রুপের রক্তটি সেই মুমূর্ষু রোগীকে দিয়ে দেওয়া হবে সেই শর্তে মাদার স্টক থেকে রেখা সরকার কে রক্তটি দিয়ে দেওয়া হয়।
রক্ত দান সুসম্পন্ন করে সুজয় ঘোষ জানান ‘ “এই রক্ত সংকটের কারন হলো সুস্থ স্বাভাবিক -যারা ১৮-৬৫ বছরের মধ্যে বয়স থাকলেও একবারও বা বছরে ২/৩ বার রক্ত দান করছে না অনেকেই। শুধু নিজের আত্মীয় /পরিজন অসুস্থ হলে-সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমাদের মত নিয়োমিত ডোনারদের থেকে রক্ত চান।।তারা যদি বছরে একটি দু’টি করে শিবিরের আয়োজন করেন বা ইন্টার ডোনেশন ক্যাম্পের মাধ্যমে পাড়া প্রতিবেশি /আত্মীয় স্বজন /সহকর্মীদের নিয়ে -ডোনেট করে যান তা হলে, এমন দুঃসময়েও রক্তসংকটে কোন মুমূর্ষু /অসহায় রোগীর প্রান হানি দেখতে হয় না আমাদের”।