মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে সাহস যোগানোর সাথে শিক্ষা সামগ্রী শুভেচ্ছা আশীর্বাদ দিয়ে কাউন্সিলরের ঘোষণা পড়াশোনা ভালো ফল করলে মিলবে পুরস্কার

Social

মলয় দে নদীয়া:- জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পরীক্ষা মাধ্যমিক আর তারপরেই উচ্চমাধ্যমিক তাই চিরাচরিতভাবে কিছুটা হলেও ছাত্রছাত্রীদের অদৃশ্য ভয় এবং অনাভিজ্ঞতার কৌতুহল থেকে থাকে। তাই এ সময়ে আত্মীয় পরিজন শুভাকাঙ্ক্ষীরা সাহস যোগাতে আশীর্বাদ ভালোবাসা দিতে পাশে দাঁড়ান। কিন্তু ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা কাউন্সিলরের উদ্যোগে এ ধরনের আয়োজন প্রশংসার দাবিরাখে।

আজ ১২ ই জানুয়ারি যুগপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনের শুভ দিনে শান্তিপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরুন বসাক এবং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওয়ার্ডের ৫০ জন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানো হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী, শান্তিপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বৃন্দাবন প্রামাণিক, নদিয়া জেলা আইএনটি টিইউসি সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী বর্তমান ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রাক্তন সভাপতি এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রতিনিধি সহ ছাত্র-যুব মহিলা এবং অন্যান্য দলীয় গণ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

কাছাকাছি কোনো নির্বাচন নেই! আর সব থেকে বড় কথা যাদের সংগঠিত করা হচ্ছে তারা কেউই ভোটার নয়, আর যিনি আয়োজন করেছেন, তিনি জনপ্রতিনিধি হওয়ার বেশ কিছু বছর আগে থেকেই আন্তরিকতার কারণে এই আয়োজন করে আসছেন। তাই এই উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।
বিধায়ক জানান বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্বামী বিবেকানন্দের বিভিন্ন বিখ্যাত উক্তির প্রাসঙ্গিকতা।
কাউন্সিলর বৃন্দাবন প্রামাণিক জানান, দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই জনপ্রতিনিধি হোক কিংবা দলীয় নেতৃত্ব মানুষের আনন্দ আবেগ উচ্ছ্বাস হোক কিংবা দুঃখ দুর্দশা দুশ্চিন্তায় পাশে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। আর এই বৃহৎ পরিবার মানুষকে সাথে নিয়ে।
ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা জানান, কিছু শিক্ষা সামগ্রিক এবং শুভেচ্ছা হিসেবে ফুল ও মিষ্টি মুখ করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে আজ।
কাউন্সিলর অরুন বসাক জানান, বিগত পাঁচ বছর ধরে এই ওয়ার্ডে এই আয়োজন তিনি করে আসছেন তখন তিনি কাউন্সিলর ছিলেন না, পরবর্তীতে কাউন্সিলর হয়েও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। প্রতিবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সমান হয় না এবছর মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে রয়েছে ৫০ জন প্রায় প্রত্যেককেই হাজির হয়েছিল আজকে তবে যদি কোনো ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত কেউ না হতে পারে তাদেরকে বাড়িতে গিয়ে সংবর্ধিত করে আসা হবে বলে তিনি জানান। তবে শুধু পরীক্ষার আগেই নয় পরীক্ষার পর ফলাফল ঘোষনা হয়ে গেলে তিনি প্রত্যেককে মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা, জানিয়ে আসেন। তবে এ বছর থেকে শান্তিপুরের মধ্যে সম্মানজনক ফলাফল করলে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক দুটি পরীক্ষার ক্ষেত্রেই সেরা দুজনকে পুরস্কারের কথা তিনি ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে পরীক্ষার্থীরা যেমন আনন্দিত তেমন খুশি তাদের অভিভাবক রাও জানালেন, ওয়ার্ডের মধ্যে হলেও সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ আরো বাড়িয়ে তুলবে।

Leave a Reply