মলয় দে নদীয়া :-করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ইউনেস্কোর তরফ থেকে এ রাজ্যে খুশির বার্তা এসেছিল দুর্গাপুজো হেরিটেজ অর্থাৎ পরম্পরা সাবেকীআনার রাষ্ট্রীয় সম্মান। কিন্তু সে সময়ে, পরিপ্রেক্ষিত এতটাই বেদনাদায়ক ছিলো, যার উচ্ছ্বাস অতিক্রম করতে পারেনি একের পর এক করোনায় মৃত্যুকে। তবে সে পরিস্থিতি থেকে একটু একটু করে সাধারণ জনজীবন স্বাভাবিক হতে চলেছে। স্বভাবতই সম্মানিত হওয়ার পর এই প্রথম দুর্গাপূজা । তাই উচ্ছ্বাসিত রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও।
সম্প্রতি সমস্ত জেলা প্রশাসন এবং পুজো উদ্যোক্তা ক্লাব বারোয়ারীদের নিয়ে ভার্চুয়াল ভাবে দুর্গোৎসব সংক্রান্ত একটি মিটিংয়ে তিনি ঘোষণা করেছিলেন। আজ পয়লা সেপ্টেম্বর কলকাতায় দুর্গা উৎসবের জন্য মিছিল অনুষ্ঠিত হবে ইউনেস্কোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে। বাদ যাবে না জেলাও। একই সাথে একইভাবে প্রতিটি জেলা প্রশাসক তার জেলার বিভিন্ন ক্লাব বারোয়ারদের নিয়ে এই অনুষ্ঠান করবেন নিজ নিজ জেলাতে।
কলকাতার দূর্গা পূজা ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির স্বীকৃতিতে, বর্ণাঢ্য পদযাত্রা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো কৃষ্ণনগররে। এই পথযাত্রার সূচনা হয় পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে এবং সমাপ্ত হয় রবীন্দ্র ভবনের পাশে গাবতলা ময়দানে। রথযাত্রা এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জেলাশাসক শশাঙ্ক শেট্টি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপার ঈশানী পাল, রানাঘাট পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জি ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। নদীয়া জেলার এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় আড়াইশো পুজো কমিটি অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে জেলা প্রশাসন সূত্রে। সুসজ্জিত জেলা পুলিশ প্রমিলা বাহিনী, নিরাপত্তা রক্ষী দের কনভয় এর মধ্যে একদিকে স্কুল ছাত্রছাত্রীরা, অন্যদিকে বিভিন্ন শিল্প সংস্কৃতির মডেল সেজে, কোনো কোনো বারোয়ারী র পক্ষ থেকে শঙ্খ উলুধ্বনি দেওয়া, আগমনীর বিভিন্ন মডেল সেজে, পুরুষরা ঐতিহ্যমন্ডিত ধুতি পাঞ্জাবি পরিহিত ভাবে , ঢাক ঢোল সহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহ প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ উচ্ছাস আবেগের নজির সৃষ্টি করেছেন। যা পথ চলতি সাধারণ মানুষ এবং উৎসাহী দের মাঝে শারদীয়া উৎসবের সূচনা বলেই মনে করছেন উৎসবপ্রেমীগন।