সাড়ে তিন বছরের একমাত্র সন্তান রেখে সাতদিন নিখোঁজ ঘরের গৃহবধূ! ঘুম উড়েছে শ্বশুরবাড়ি বাপের বাড়ির দুই পরিবার সদস্যদের

Social

মলয় দে নদীয়া:-ইচ্ছে ছিলো পড়াশোনা করে নিজে পায়ে দাঁড়ানোর। কিন্তু আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণেই বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দেন মাধ্যমিক পাস করার পরেই।

শান্তিপুর বাগআচড়া পঞ্চায়েতের ঢাকা পাড়া এলাকার প্রদীপ ঘোষের দুই ছেলের সাথে একই বাড়িতে শান্তিপুরের তিন নম্বর রেলগেটের মায়া বিশ্বাস বিয়ে দেন দুই মেয়ের ।
ছোট মেয়ের দাম্পত্য জীবন সুখের হলেও বড় মেয়ে শমিতা ও জামাই প্রশান্তর সাথে বিবাদ লেগে থাকত প্রায়শই, যদিও তাদের সাড়ে তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
চলতি জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে ছোট মেয়ের সন্তানের জন্মদিন অনুষ্ঠানে মায়া দেবী পৌঁছেছিলেন পরের দিন বাড়ি ফেরার সময় বড় মেয়ে তার সঙ্গে একই সাথে বের হয় পার্শ্ববর্তী বান্ধবী পুর ব্যাংকে কাজ মেটানোর উদ্দেশ্যে। এরপর মায়া দেবী বাড়ি পৌছানোর বেশ কয়েক ঘন্টা বাদেও বাপের বাড়ি কিংবা শশুর বাড়ি কোথাও ফেরে না সে। যদিও এই সময়ের মধ্যেই মোবাইলে ওই গৃহবধু তার বোনের মোবাইলে একটি মেসেজ “পাঠায় এই অশান্তি আর ভালো লাগছে না, তাকে নিয়ে যেন দুশ্চিন্তা কেউ না করে।”
যদিও তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সব চেষ্টা বৃথা হয় দুই পরিবারের তরফ থেকেই আত্মীয়-স্বজন এবং পরিজনদের কাছে খোঁজখবর নিয়েও মেলে না খোঁজ! অবশেষে নিয়ম অনুযায়ী ২৪ ঘন্টা বাদে শান্তিপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার । কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও গৃহবধুর হদিস মেলেনি এখনও, দুশ্চিন্তায় দুই পরিবারের ঘুম উড়েছে।
তবে নিজের পায়ে প্রতিষ্ঠার জন্য কোনরকম কাজের প্রলোভনে কোথাও যেতে পারে কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত কোন সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেন পরিবার।

সামাজিক মাধ্যমে দ্বারস্থ হয়ে কাতর প্রার্থনা করে মেয়ের খবর পেলে শান্তিপুর থানায় যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছেন মা। তবে ব্যাংকে কাজ মেটানোর কারণে তার কাছে লাল রঙের একটি ব্যাগে কিছু প্রমাণপত্র রয়েছে তবে নগদ অর্থ কিংবা শীতের পোশাক কিছুই ছিল না সাধারণ একটা লাল মেরুন চুড়িদার এবং ওড়না গায়ে দিয়েই বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে।

Leave a Reply