লঙ্কা চা ! নদিয়ায় মিলছে এই চা

Social

মলয় দে নদীয়া:-করোনা মহামারির সময় লকডাউন চলাকালীন মনে পড়ে সেই চা কাকুর কথা। যিনি ভাইরাল হয়েছিলেন আমরা “কি খাব না চা” বলে? তার কথা ভাইরাল হলেও করোনার সময় এই চা”ই কিন্তু করোনার থেকে অনেকটাই উপশম দিয়েছিল সাধারণ মানুষকে।

মহামারি আসলেই গৃহবন্দী অবস্থায় চা খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় মানুষের। তা বাদেও চায়ের নস্টালজিক গল্প শেষ নেই! তবে চায়ের মধ্যে বিভিন্ন ঘরোয়া ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের, যেগুলি সর্দি-কাশি কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে।

একসময় চাকরি করলেও বর্তমানে চায়ের দোকান করেই সেখানে লঙ্কা চা বানিয়ে মানুষকে খাইয়ে রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছেন শান্তিপুর কে সি দাস রোডের চা বিক্রেতা বিশ্বজিৎ সরকার। প্রথমে বাবার দোকান থাকলেও, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আধ্যাত্মিক জগতের সাথে যুক্ত হয়েছেন তিনি তাই বাড়িতেই মহাদেবের মন্দিরে পুজো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। একমাত্র সন্তান বিশ্বজিৎ সেই দোকান নতুন করে খুলেছেন মাত্র এক মাস আগে। আর তারই মধ্যে প্রতিষেধক হিসাবে করোনার অভিজ্ঞতা নিয়ে গোলমরিচ আদা এবং বেশকিছু ভেষজ বিষয় যোগ করে তৈরি করেছেন অভিনব এক লিকার চা, তবে কাঁচা লঙ্কা জলে টগবগ করে ফুটিয়ে তা দিয়ে লিকার যা এক অনবদ্য সাথে যখন যুক্ত হয় গোপনীয় বিশেষভাবে প্রস্তুত ওই সিক্রেট মসলা তখন চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ক্রেতারা বলে থাকেন “অসাধারণ” । তবে দোকানের তরফে বলা হয়ে থাকে প্রথম চুমুক অবশ্যই পেয়ার সে অর্থাৎ ধীরে না হলে গলায় ঝাঁজ লাগতে পারে। লিকার এবং দুধ চায়ের- খরিদ্দার থাকলেও বিশ্বজিতের মতে লঙ্কা চা খেতে মাত্র এই কদিনই নিয়মিত খরিদ্দার তৈরি হয়েছে তার তবে বিকালের লঙ্কার পরিমাণ আর রাতের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য অর্থাৎ কঠিন শীতে লঙ্কার পরিমাণ কিছুটা বাড়াতে হয়।
স্ত্রী একজন কলেজের শিক্ষিকা, ভালোবেসে বিশ্বজিতের কাছে আসা চাকরি না থাকলেও চায়ের দোকান নিয়েই খুশি সে এ ব্যাপারে শাশুড়ি মায়ের সাথে নিজেও সহযোগিতা করে থাকে। আত্মবিশ্বাসের সাথে বলে, পরিশ্রমের বিকল্প নেই অন্যদিকে কোন কাজই ছোট নয়। তাই দেরিতে হলেও সফলতা আসবেই।
পাতিলেবুর শরীরের ইমিউনিটির জন্য যেমন কাজ করে তার পাশাপাশি কাঁচা লঙ্কাতেও থাকে অনেক ভিটামিন যেগুলি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
দাম সাধ্যের মধ্যেই, মাত্র ৬ টাকা। আর এই লঙ্কা চা খেতেই এখন দোকান খুললেই খরিদ্দারের ভিড় লেগে যায় তাদের।
অন্যদিকে ক্রেতারাও জানাচ্ছেন, নানা সাধের চা খেলেও লঙ্কার সাথে এই প্রথম তবে ফ্লেভার অসাধারণ! বিশেষ করে শীতের রাতে এই চা খেলে, শীত পালিয়ে কপালে ঘাম এসে জমে।

অনেকেই জানাচ্ছেন বর্তমানে আবারও চীন থেকে এক মহামারী ছড়াচ্ছে, এইচএমপিভি নামে। আর সেই কারণেই চায়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বেশি পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। তবে প্রচলিত দুধ চা কিংবা লিকার চা বাদ দিয়ে বর্তমানে মানুষ এই লেবু চা কিংবা লঙ্কা চায়ের দিকে ঝুঁকছেন বেশি। ঝাল একটু লাগলেও শরীরের জন্য তা অত্যন্ত উপকারী বলেই মনে করছেন খরিদ্দার এবং বিক্রেতা উভয়ই।

Leave a Reply