প্রাক শতবর্ষ প্রতিষ্ঠা দিবস পালন : লাল পতাকা তুলে কেক কেটে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার ডাক

Social

মলয় দে নদীয়া:-ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( সিপিআই ) ভারতের প্রাচীনতম কমিউনিস্ট পার্টি । সিপিআই ১৯২৫ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর আধুনিক কানপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই হিসাবে আজ প্রতিষ্ঠার ৯৯ তম বর্ষ অর্থাৎ আগামী বছর শততম। তাই এই প্রাক শতবর্ষ পালনের উচ্ছাস আবেগ দেখা গেল এবারে।

প্রসঙ্গত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই) এর উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন এমএন রায়, এভলিন ট্রেন্ট-রয়, অবনী মুখার্জি, রোজা ফিটিংভ, মো. আলী, মোহাম্মদ শফিক, এবং এমপিটি আচার্য, সেইসাথে এসএ ডাঙ্গে, মুজাফফর আহমেদ, শওকত উসমানি, নলিনী গুপ্তা, এবং অন্যান্য, যাদের সকলেই ভারতের প্রথম দিকের কমিউনিস্ট আন্দোলন গঠনে এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

১৯৫২ সালে, সিপিআই ১ম লোকসভায় প্রথম প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠে, যখন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। ১৯৫২ সালের ত্রাভাঙ্কোর-কোচিন বিধানসভা নির্বাচনে , কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তাই এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি। ১৯৫৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে, সিপিআই বৃহত্তম বিরোধী দল হিসাবে আবির্ভূত হয়।
১৯৫৭ সালে তেভাগা, কেরাল পুনাপ্রা ভায়ালার বিভিন্ন ঐতিহাসিক আন্দোলন সংঘটিত হয় সিপিআই এর নেতৃত্বে এবং ১৯৫৭ সালে সেখানকার সরকার গঠিত হয়। সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী কৃষক শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবির আন্দোলন সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন আন্দোলন উল্লেখ পাওয়া যায় ইতিহাসে।

এ বাংলায় ১৯৫০ সালে খাদ্য আন্দোলন সহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে ৭৭ সালে যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতা পাওয়ার মধ্যেই ছিল সিপিআই। তবে এ রাজ্য থেকে বামফ্রন্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বর্তমানে সাংগঠনিক শক্তি কিছুটা হলেও কম হয়েছে তা মানছেন সকলেই। তবে শতবর্ষ থেকে আবারো বিভিন্ন বামপন্থী এবং প্রগতিশীল শক্তি একত্রিত করে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠবে এবং মানুষের পরিত্রানদাতা হিসেবে বামপন্থীরাই উপযুক্ত সেই বিশ্বাস জনগণ তাদের উপর করেন বলেই দাবি করেছেন শান্তিপুরের সিপিআই নেতৃত্ব। এদিন লাল পতাকা তুলে কেক কেটে আবারো সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন তারা।

Leave a Reply