মলয় দে নদীয়া:-চিরাচরিত প্রথা মেনেই মঙ্গলবার বেলা আটটা নাগাদ কৃষ্ণনগরের রাজপথে নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে বের হলেন কৃষ্ণনগরের রানী বুড়িমা। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে জগদ্ধাত্রী উৎসব। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রধান বৈশিষ্ট্য পুজোর পরের দিন বেহারাদের কাঁধে করে বেশিরভাগ প্রতিমা জলঙ্গির ঘাটে যান নিরঞ্জন এর উদ্দেশ্যে। এই প্রথাকে সাং প্রথাও বলে।
বুড়িমা ছাড়াও কৃষ্ণনগরের অন্যতম বাঘাডাঙ্গা বারোয়ারি, গোলাপট্টি বারোয়ারি, রাধানগর, হাতার পাড়া, কাঁঠালপোতা বারোয়ারি, মালোপাড়া বারোয়ারি ইত্যাদি একাধিক নামকরা বারোয়ারির প্রতিমা কাঁধে করেই কৃষ্ণনগরের রাজপথ থেকে নিয়ে গিয়ে নিরঞ্জন হয়ে থাকে জলঙ্গির ঘাটে। বারোয়ারি থেকে প্রতিমা প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে। এরপর রাজবাড়ি থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে এসে কৃষ্ণনগরের রাজপথ দিয়ে কাঁধে করে প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় বেহারাদের মাধ্যমে। সারারাত ধরে চলে এই প্রথা। সমস্ত প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে গেলে একদম শেষে বের হন কৃষ্ণনগরের রানী অর্থাৎ বুড়িমা। কৃষ্ণনগর ও তার আশেপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষ এই শোভাযাত্রা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। একের পর এক বারোয়ারি কাঁধে করে তাদের প্রতিমা নিয়ে যায়। শেষের দিকে বাঘাডাঙ্গা বারোয়ারির অসংখ্য সদস্যরা তাদের প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার পরেই কিছুক্ষণের মধ্যেই বের হন কাঁঠালপোতা বারোয়ারির ছোটমা। এরপর ছোটমা চলে যাওয়ার পরেই নিজের বারোয়ারি থেকে শহরের রাজপথে বের হয়ে আসেন বুড়িমা। এরপর প্রায় শতাধিক ঢাকের সঙ্গে বেহারাদের কাঁধে করে একটানে বুড়িমা চলেন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে, এবং সেখান থেকে ঘুরে পুনরায় একই রাস্তা দিয়েই বুড়িমা এগিয়ে চলেন কৃষ্ণনগর কদমতলা নিরঞ্জন ঘাটের দিকে।