সূত্রাগড় দালাল পাড়ায় প্রতিবছরেই মন্ডপসজ্জার বিষয় ভাবনায় থাকে সামাজিক বার্তা

Social

মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুর সুত্রাগড় দালালপাড়া বারোয়ারী এবার ৪২ তম বর্ষে নটরাজ পুজো উপলক্ষে মন্ডপ সজ্জার বিষয় ভাবনা উপস্থাপনা করেছেন রক্তদানে আহ্বান। অত্যন্ত লোকসংখ্যা কম এই পড়ায় দুইশ কুড়ি বছর ধরে দুর্গাপুজো হলেও জগদ্ধাত্রী উপলক্ষে নটরাজ পুজো ৪২ বছরের। তবে ঠাকুর দালানের সামান্য একটু জায়গা তেই প্রতিবছর সামাজিক বিভিন্ন বার্তা দিয়ে থাকেন তারা গত বছরে বাল্যবিবাহ রোধে বিভিন্ন মাটির তৈরি মডেল এবং এই সংক্রান্ত নানান শাস্তিযোগ্য অপরাধের আইন এবং একই সাথে সচেতনতা নিয়ে অসাধারণ এক উপস্থাপনা মন কেড়েছিল মানুষের আর সেই কারণেই এবছর দর্শনার্থী রা মনে অনেক আশা নিয়ে তাদের বিষয় ভাবনা দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন গতকাল থেকেই। নটরাজ পূজা আজ হলেও দর্শনার্থীরা বিষয় ভাবনা এবং উপস্থাপনা দেখে যে মানসিক তৃপ্তি পেয়েছেন তা বোঝা গেছে পুজোর আগের দিন মন্ডপে আসা দর্শনার্থীর সংখ্যা দেখে।

মূলত পাড়ার ছেলেরাই কাগজের বোর্ডে রক্তদান সম্পর্কিত নানান বার্তা উপস্থাপনা করেছেন মন্ডপে ঢোকার রাস্তায়। ছোট্ট একটি জায়গার মধ্যেই একদিক থেকে প্রবেশ সেখানে বাড়ির ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়ানোর অসতর্কতার ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা এ ধরনের বিষয় উপস্থাপিত করা রয়েছে একই সঙ্গে বার্তা রয়েছে নাইলন সুতোর কুফল প্রসঙ্গে, মাঝখানে ঠাকুরদালানে আরাধ্য দেবতা নটরাজ প্রতিমা এরপর ব্লাড ব্যাংক থেকে শুরু করে রক্তের অভাবে মুমূর্ষু রোগীর পরিবারের আর্তনাদ একই সাথে হাসপাতালের বেডে শুয়ে মহৎ জীবন দানের রক্তদান এ ধরনের নানান বিষয় অসাধারণ মাটির মডেলে বিভিন্ন চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেরই মন জয় করেছে। তবে শুধুই কি সচেতনতা! পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন জায়গা ছোট হওয়ার কারণে ইচ্ছা থাকলেও উৎসবের মধ্যে তা সম্ভব হয়নি তবে সম্প্রতি দুর্গাপুজোর পর রক্তদান অনুষ্ঠিত হয়েছে সদস্যদের উদ্যোগে আগামীতে থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় এবং প্রান্তিক পরিবার বর্গের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ঔষধ বিতরণের কর্মসূচি পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কতটুকু সচেতন করানো সম্ভব এভাবে? প্রশ্নের উত্তরে উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন আগামী প্রজন্মের শিশুদের মানসিক দৃঢ়তা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরি হয় এ ধরনের বিষয়বস্তু চোখের সামনে দেখলে আর অভিভাবকদের ক্ষেত্রে যদি ১০০ দর্শনার্থীর মধ্যে দুজন কিংবা একজনও মেনে চলেন তাহলেও এই উৎসবে ১০ জন বাঁচাতে পারবেন ১০০ জনের প্রাণ , আর এখানেই সফলতা।

Leave a Reply