মলয় দে নদীয়া:-জল বেড়ে যাওয়ার সময় যেমন ভাঙ্গন হয় ঠিক তেমনি জল কমে যাওয়ার সময়ও আর একবার পাড় ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। নদীয়ার শান্তিপুরে ভাগীরথী তীরবর্তী হরিপুর পঞ্চায়েতের নৃসিংহ পুর চৌধুরী পাড়া এবং গয়েশপুর পঞ্চায়েতের আলুই পড়ায় এইরকমই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভাগীরথী তীরবর্তী বেশ কিছু পরিবার।
গতকাল শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে দুটি স্থানেই যান পরিদর্শনে। যদিও ভাঙ্গনের পরবর্তী সময়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং দলীয় কর্মীদের পাঠিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছিলেন প্রাথমিকভাবে তবে এবার গঙ্গা ভাঙ্গন রোধের এর ব্যাপারে ভাগীরথী পারে গিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যা কথা শুনে সেচ দপ্তরের আগত প্রতিনিধির কাছে যথাযথ ব্যবস্থা অতি শীঘ্রই নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। তবে পূর্বেও বেশ কিছু বালির বস্তা এবং বাঁশের খাচা ফেলে কিছুটা রোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিলো, তবে পুরো সফল কেন হয়নি এবং সফলতা পেতে গেলে আগামীতে কি কি করা দরকার তা নিয়ে সেচ দপ্তর ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কথা বলে বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে দেখবেন বলেই জানিয়েছেন বিধায়কের কাছে।
এ বিষয়ে গয়েশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল ঘোষ আমাদের জানান মূলত নদী খনন না হওয়ার জন্যই প্রতিবছর এই ভাঙ্গনের কবলে পড়েন ভাগীরথীর বিস্তীর্ণ এলাকার দু’পাশের মানুষজন তবে গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে হওয়ার কথা, রাজ্য সরকারের সীমিত ক্ষমতার অনুযায়ী ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করছেন এবং এক্ষেত্রে বিধায়ক বিধানসভা সহ বিভিন্ন দপ্তরে অতি তৎপরতার সাথে নিয়মিত লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তবে এবার সকলেই আশাবাদী হয়তো স্বস্তি মিলতে পারে ভাগীরথী পাড়ের মানুষজনের।