বাংলাদেশের যশোর জেলার পুজো এখনও কৃষ্ণগঞ্জে !  দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য কলাই এর ডাল এবং আমন ধানের চালের ভোগ এবং গু**লি চালিয়ে শুরু হয় সন্ধিপূজো

Social

মলয় দে নদীয়া:-নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের শিব নিবাস অঞ্চলের পাবাখালি গ্রামের রায় চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো ৪০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন। ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় বাংলাদেশের যশোর জেলার মহেশপুরের জমিদার শিবপ্রসাদ রায়চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেন এই দুর্গাপুজোর। তবে ১৯৪৯ সালে রায়চৌধুরী পরিবার ভারতবর্ষে এসে পাবাখালি গ্রামে আবারও এই পুজো শুরু করেন।

এই রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপুজো যেমন প্রাচীন ঠিক তেমনই একাধিক পুরনো রীতি ও নিয়মকে এখনও মানা হয় এই পুজোর সময়। রথের দিন কাঠামো পুজো করে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শুরু থেকেই এই দুর্গা প্রতিমার রয়েছে দুই হাত। নিয়ম মেনেই সপ্তমীর দিন হোমকুণ্ডে আগুন জ্বলে এবং নবমীতে হয় আহুতি। কলাইর ডাল এবং আমন ধানের চালের ভোগ হয় পুজোর সময়। এছাড়াও পুরনো ঐতিহ্যকে মান্যতা দিয়েই একাধিক নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে এই পুজো করা হয়।

এই পুজোর মূল বৈশিষ্ট্য হল বন্দুকের গুলি চালিয়ে এখানে শুরু হয় সন্ধিপুজো। জানা যায় প্রাচীনকাল থেকেই বন্ধুকে গুলি চালিয়ে শুরু করা হত দেবীর সন্ধিপুজো। শুধু তাই নয় এখানে পুজোর সময় প্রদীপের শিখা সোজা হলে পরে তবেই ফাটানো হত বন্দুকের গুলি। এবং শুরু করা হয় সন্ধি পুজোর। এরপর দশমীর দিন সূর্য ডোবার সন্ধিক্ষণে কাঁধে করে দেবীকে নিয়ে গিয়ে শিবনিবাসের চূর্ণী নদীতে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রতিবছরই এই পুজোর সময় উপস্থিত হয় পরিবারের সমস্ত সদস্যরা। ক্লাব বারোয়ারির জাঁকজমকপূর্ণ পুজো যতই থাকুক না কেন দূর দূরান্ত থেকে অন্তত একবার পাবাখালির রায়চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো দেখতে গ্রামবাসীরা আসবেনই।

Leave a Reply