নদীতে রাখী ভাসিয়ে সুরধুনী নদীর প্রাণ প্রবাহ ফেরানোর দাবী

Social

মলয় দে নদীয়া:- বঙ্গভঙ্গ রুখতে এবং দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে তরান্বিত করতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেসময় রাখীকেই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ঠিক সেই আঙ্গিকেই নদী বাঁচানোর দাবীকে তরান্বিত করতে এবার নদী ও পরিবেশকর্মীরা নদীতে কচুরিপানার রাখি ভাসিয়ে শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী সুরধুনী নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত সংস্কারের দাবী জানালেন। একই সাথে নদীর ধারের গাছকে তালপাতার রাখী পরিয়ে গাছকেও আপন করে নেন

পরিবেশপ্রেমীরা নদীয়ার যুগবার্তা পরিবার প্রতিবছরই এমন অভিনব ভাবেই রাখী বন্ধন উৎসব উদযাপন করে বলেও জানা গেছে।

এবারের এই অভিনব রাখী বন্ধন উৎসবে অংশগ্রহণ করে গোবিন্দপুরের রাধা মাধব মন্দিরের অধ্যক্ষ জয়ন্ত চৌধুরী বলেন যে, শ্রীচৈতন্য এবং অদ্বৈত মহাপ্রভুর স্মতি বিজড়িত শান্তিপুরের সুরধুনী নদী প্রায় মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছিলো। তবে পরিবেশকর্মী ও নদীকর্মীদের নিরন্তর আন্দোলনে প্রায় সাড়ে তিন কিমি খনন করা হয়েছে। বাবলার সেই খনন করা নদী বর্ষার জলে স্রোতস্বীনি হয়ে উঠেছে। আমরা নদীতে কচুরিপানার রাখী ভাসিয়ে নদীর বাকি অংশ খনন করার দাবী জানাচ্ছি৷” নদীয়ার যুগবার্তা পরিবারের সম্পাদক সঞ্জিত কাষ্ঠ জানান যে, তাদের আন্দোলনের ফলে সেচ দপ্তর সাড়ে তিন কিমি নদী সংস্কার করলেও পুরো নদী দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। সুরধুনীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত বাকি অংশ দখল মুক্ত করে খনন করার দাবীও জানান সঞ্জিতবাবু। পাশাপাশি নদীর যে অংশ খনন করা হয়েছে সেখানে জেলেরা আনন্দ সহকারে মাছ ধরছে৷ স্থানীয় জেলারা আশাবাদী সুরধুনী নদীটি পুরো সংস্কার করা হলে এবং ভাগীরথী নদীর সাথে সংযোগ ঘটাতে পারলে সেই সব হারানো বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আবার হয়তো ফিরে আসবে৷ যুগবার্তা পরিবারের কর্মী শম্পা রায়, প্রিয়াঙ্কা বসাকরা জানান যে, নদীর সাথে সাথে নদীপাড়ের গাছও যাতে দীর্ঘজীবি হয় সেই কারনে গাছ তালপাতার তৈরী রাখী পরিয়েছেন। আদতে নদীর ধারের গাছগুলি ভূমিক্ষয় রোধ করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ সচল রাখতে সহায়তা করে। শম্পা, প্রিয়াঙ্কা, সীমা, অসীমারা আর জি কর কান্ডে ধর্ষিত ও খুন হওয়া বোনটির আত্মার শান্তি কামনা করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবীও জানান।

Leave a Reply