মলয় দে নদীয়া:-হামরা আদিবাসী হাটবো একই সাথে, তোমার হামার দেখা হোক নদীয়া জেলার পথে, বনজঙ্গল পশুপাখি রাখবো তারে ধরে, বেটা বেটি সুরক্ষিত থাকে যেন ঘরে ঘরে। এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবার রাস্তায় নামল আদিবাসী সমাজ। শনিবার নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া থেকে শুরু হলো পদযাত্রা। মাজদিয়ার পদযাত্রা শেষ হবে কল্যাণী সীমান্তে । দীর্ঘ ১০০ কিলোমিটার রাস্তায় পদ যাত্রা আদিবাসী সমাজের। আদিবাসী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে রাবণ সর্দার জানান,আমরা নদীয়ার আদিবাসীরা বিশ্বশান্তির পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষা , প্রকৃতির সুরক্ষা , দেশের সন্তানদের সুরক্ষার দাবিতে আজ পথে নেমেছি।
শুধু নারী নয়,, পুরুষরাও নানা সঙ্কটের মুখে পড়ে। নিজেদের চেতনাকে জাগাতে পথে নেমেছে এবার আদিবাসী সমাজ।
এ আন্দোলনে শুধু সরকারের নয়, আমাদের সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আরও একধাপ এগিয়ে উৎপল মাহাতো জানান,
যে জঞ্জাল আমাদের ভেতরে ঘর বেঁধেছে তা অবিলম্বেই পরিষ্কার করা দরকার। আর তাই সঠিক শিক্ষা যেন ঘর থেকে শুরু হয়। এমনটাই জানান আদিবাসী সম্প্রদায়ের পদযাত্রার সদস্যরা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য তাপসী সর্দার বলেন সবাই মিলে একসাথে এই প্রতিজ্ঞা করতেই নদীয়ার পথে নেমেছি । পাশাপাশি আরজিকর কাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন যেভাবে একজন চিকিৎসককে খুন করা হচ্ছে এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না । তারা চান অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে অপরাধীদের ফাঁসি দেয়া হোক । পাশাপাশি তিনি বলেন বর্ধমানেও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে সেই অপরাধীরও দৃষ্টান্তমূলক সাজা চান তারা বলেই জানান । শনিবার দুপুরে মাজদিয়া থেকে এই পদযাত্রার সূচনা করা হয়। রবিবার কল্যাণী সীমান্তে গিয়ে এই পদ যাত্রা শেষ হবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। তবে আদিবাসী সমাজের এই মহা মিছিল দেখতে রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে। একপ্রকার বলা যেতেই পারে পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে এক অভিনবত্ব প্রতিবাদ তুলে ধরলেন এই আদিবাসী সমাজ। একটা সময় দেশে পিছিয়ে পড়া আদিবাসীরা সরকারি কোনো সুযোগ পেতেন না,, কিন্তু এখন যুগের পরিবর্তনে সবটাই পাল্টে গেছে। যেমন শিক্ষার দিকে অনেকটাই ঝোঁক রয়েছে তাদের, পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রও পরিবর্তন হয়েছে। এখন দেখার আদিবাসীদের এই মহা মিছিলে কতটা সারা ফেলে দেয়।