বর্ষা পড়তেই শান্তিপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়, ভিটেমাটি ছাড়া বেশ কিছু পরিবার ! অভিযোগ সেই সুরধ্বনি নদীর ভরাটের দিকে

Social

মলয় দে নদীয়া:-মাত্র দুদিনের লাগাতার বৃষ্টিতেই ঘরবাড়ি ভিটে মাটি ছেড়ে বাধ্য হয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন শান্তিপুর দু’নম্বর ওয়ার্ডের চারটি পরিবার। জানা যায় আরো ৮ থেকে ১০ টি পরিবার আশঙ্কায় রয়েছেন ভিটেমাটি ছাড়ার। শান্তিপুর শহরের দু নম্বর ওয়ার্ডের একদিকে বাইগাছি পাড়ার একাংশ, বিলপুকুর, অন্যদিকে ঢাকা পাড়ার কিছু অংশ শহরাঞ্চলের মধ্যে হলেও বেশ খানিকটা নিচু বলে জানা যায়। যার ফলে লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে জল জমা স্বাভাবিক। তবে প্রতি বছরের মতন এ বছরেও তা একটি খালের মধ্যে দিয়ে বহু প্রাচীন ইতিহাস সম্বলিত সুরধ্বনি নদীতে মেশার কথা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দু এক বছরের মধ্যে নদী দখল করে বসতবাড়ি কারখানা এবং অন্যান্য নির্মাণ হওয়ার কারণে সেই জল বেরোনোর পথ নেই। আর তার ফলেই বৃষ্টির এলাকা জলকীর্ণ হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি নদীয়া জেলাতেও লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে আর সেই জলেই জল যন্ত্রণা শুরু হয়েছে শান্তিপুরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গা গুলিতে। তবে পুরসভার পক্ষ থেকে ব্যাপক নিকাশী ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পর আগের তুলনায় অনেকটাই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছে নগরবাসী।

তবে এই এলাকাবাসীদের অভিযোগ যদিও ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়েই সুরধ্বনি নদীতে জল পড়তো একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষেরাই সেইসব নিচু জায়গাগুলিতে নিজেদের মতো করে বাড়িঘর বানিয়ে ফেলেছেন যার ফলে কোনোভাবেই এই জল বেরোতে পারে না। অন্যদিকে পুরসভার পক্ষ থেকেও সকলের সুবিধার্থে জল যাওয়ার জন্য কোন ব্যবস্থা করেনি কিংবা ওই এলাকায় নির্মাণ কার্যের অনুমতি দিতে কোন শর্তাবলী প্রযোজ্য করেননি আর তার ফলেই আজকে এত বড় বিপদ।

অভিযোগ পূর্ববর্তী কাউন্সিলর যিনি ছিলেন তাকে জানিয়েও কোন ফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে দু’নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পুষ্পা দাসের স্বামী সত্যনারায়ণ দাস জানান, বিলপুকুর নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি বেশনিছু এখানে আগে ধান চাষ হতো । মানুষের প্রয়োজনে বর্তমান সে সমস্ত কিছু জায়গাতেই বাড়ি হচ্ছে, সমগ্র এলাকাটি বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকাধীন তাই এতদিন সে সমস্ত পরিত্যক্ত জায়গার উপর দিয়ে জল যেত এখন সকলেই বাড়িঘর করে নেওয়ায় জল বেরোতে পারছে না। তবে একটি খাল দিয়ে এই জল গিয়ে পড়তো সুরধ্বনি নদীতে কিন্তু বর্তমানে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সেখানে নির্মাণ করে নদীপথ অবরুদ্ধ করেছে, যদিও সে বিষয়েও আমি সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চিঠিপত্র করেছিলাম সুরধ্বনি সংস্কার শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ হলে হয়তো অনেকটাই সুরাহা হবে।

Leave a Reply