মলয় দে নদীয়া:-বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরালের যুগে দেখা যায় নানান ভিডিও তবে এডিটিং আর এই কারণেই বিভ্রান্ত হন অনেকেই। কোনটা ঠিক কোনটা ভুল তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবে কোন এডিটিং নয় দুহাতে দুটি পৃথক বিষয় অনর্গল লিখে চলেছেন নদীয়ার এক যুবক। ইংরেজি বাংলা ছাড়াও ওড়িয়া অসমীয়া হিন্দি তেও ১১ রকম অদ্ভুত এই ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন তিনি তবে অনুশীলনটা সেই অষ্টম শ্রেণীতে পড়া ১৪ বছর বয়স থেকে এখন প্রায় ৩০ এর কাছাকাছি। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর অভাবের তাড়নায় সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া রাজমিস্ত্রির হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করার পরেও তিনি সন্ধ্যার পর টিভির সামনে কিংবা চায়ের দোকানে আড্ডা পছন্দ করেন না সেই সময়টা প্রিয় বিষয়ে অনুশীলন করতে ব্যস্ত থাকেন।
তবে এত ভাষা সম্পর্কে তিনি বলেন একসময় রাজমিস্ত্রির কাজে তিনি ব্যাঙ্গালোর থাকতেন বিগত প্রায় দশ বছর সে সময় বিভিন্ন ভাষার শ্রমিকদের সাথে একই ঘরে থাকতেন সেখানেও গল্পগুজব করে সময় নষ্ট করতেন না এতটুকু বরং তাদের ভাষাকে আয়ত্ত করেছেন তিনি। তবে শুনে বলা আর অক্ষর পরিচিতি করে লেখার মধ্যে ভাষা শেখার পরিশ্রম যে কতটুকু তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আপনারা।
সব্যসাচী এই যুবকের বাড়ি করিমপুর থানার অন্তর্গত নন্দনপুর এলাকায়। নাম বিপ্লব শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রি র সহযোগী। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে মা-বাবা স্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর জন্য সারাদিন রাজমিস্ত্রির কাজ করার পরেও বাবাজি পালন করেন বাড়িতে । তবে বিপ্লব বাবু তার দুহাতে অনর্গ লেখার জন্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। জানা যায় এই বিষয়ে প্রতি তার এতটাই আগ্রহ যে মাঝেমধ্যে নিজের স্মার্টফোনে ইন্টারনেট রিচার্জ করে সেখানে তিনি খোঁজ করেন রাজ্য দেশ তথা পৃথিবীতে তার মত দুহাতে লিখতে পারা ব্যক্তি এবং তাদের কৃতকর্ম । তবে এগারোটা বিষয়ের উপর কিংবা এক মিনিটে 180 টি শব্দ লেখার উপর কিংবা পাঁচটি ভাষার উপর কোন একজন ব্যক্তির খোঁজ তিনি এখনো পাননি তাই আসার আলো রয়েছে তার কৃতকর্ম হয়তো একদিন রেকর্ডধারী হিসেবে মান্যতা পেতে পারে তবে তিনি ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখেছেন জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক রেকর্ড হিসাবে শংসাপত্র দেওয়া সংস্থাগুলিও সকলেই যে স্বচ্ছ এমন কিন্তু নয় অনেকের কাছেই দিতে হয় মোটা অংকের অর্থ তবে তার সে সামর্থ্য নেই তাই আমাদের সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে তিনি এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সহযোগিতা চেয়েছেন সহৃদয় ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন বিপ্লব বাবু।
তবে শুধু লেখাই নয় তার হাতের লেখাও একেবারে পরিষ্কার এবং ঝকঝকে। নেটিজেনরা অনেকেই মনে করছেন এক্ষেত্রে মস্তিষ্ক দুটি হাতকে দুই ধরনের নির্দেশ দিচ্ছে যা সত্যি প্রশংসনীয়। কখনো উল্টো করে লেখা যা আয়নার সামনেই দেখাবে সোজা আবার কখনো একটি বাক্যের প্রথম অক্ষর বাঁহাত দিয়ে শুরু হচ্ছে একই সাথে শেষের অক্ষর থেকে ডান হাত তার লেখা শুরু করছে দুই হাতই মিলিত হচ্ছে মধ্য অক্ষরে, বা হাত লিখছে ইংরেজি তোর ডান হাত ওই একই কথা লিখছে বাংলায় এ ধরনের ভিডিও তারা কখনো সামনে দেখেননি বলেই জানিয়েছেন। আমাদেরও সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে তার জন্য রইল শুভকামনা। যাতে তার এই প্রতিভা তিনি তুলে ধরতে পারেন বিশ্ব দরবারে।