মলয় দে নদীয়া:-বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগের সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ০৮ ব্যাটালিয়নের বর্ডার ফাঁড়ি পুট্টিখালির সজাগ জওয়ানরা, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা সীমান্ত এলাকা থেকে ২০টি স্বর্ণের বিস্কুট এবং ২ সোনার ইট সহ এক জন চোরাচালানকারীকে আটক করেছে। সোনার মোট ওজন ৪.৭ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য ৩,২৭,৫৯,০০০/- টাকা।
এর আগেও ০৪ঠা জুলাই, নদীয়া জেলাতেই বিএসএফ এবং ডিআরআই একটি যৌথ অভিযানে ৬.৮৬ কোটি টাকা মূল্যের ৯.৬ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল।
তথ্যমতে, স্বর্ণ চোরাচালানের বিষয়ে বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে গত ৫ জুলাই বর্ডার ফাঁড়ির পুট্টিখালীর কোম্পানি কমান্ডার ০৮ ব্যাটালিয়ন মথুরাপুর গ্রামের গভীর এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায়। অ্যাম্বুশ পার্টি লক্ষ্য করে একটি সন্দেহভাজন ব্যক্তি ঠাকুরী গ্রাম থেকে একটি স্কুটিতে করে মথুরাপুর গ্রামের দিকে আসছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পর তাকে আটক করে সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয় যেখানে স্কুটি তল্লাশি করে স্কুটির সিটের নিচে রাখা লাগেজ থেকে ২০টি সোনার বিস্কুট ও ২টি সোনার ইট উদ্ধার করা হয়।
ধৃত ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, সোনার চালান নেওয়ার পরে, যখন সে বনগাঁয় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল, তখন বিএসএফ তাকে সোনা সহ আটক করে। এ কাজের জন্য তিনি বেশ ভালো অর্থ পেতেন।
ধৃতকে আইনি ব্যবস্থার জন্য ডিআরআই কলকাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা শ্রী এ.কে. আর্য, ডিআইজি বিএসএফ সদস্যদের সফল অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি চোরাচালান তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিএসএফ-এর অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। তিনি সীমান্তের বাসিন্দাদের বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯-এ বা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা বা ভয়েস বার্তার মাধ্যমে ৯৯০৩৪৭২২২৭ নম্বরে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য জানাতে অনুরোধ করেছিলেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য উপযুক্তভাবে পুরস্কৃত করা হবে এবং তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে।