মদন মাইতি: খোদ বিরাট কোহলি বিশ্বকাপ জয়ের পর বলেছেন, নেটে ভারতীয় দলের থ্রো ডাউন স্পেশ্যালিস্ট দয়ানন্দের ছোড়া ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতির বল খেলে মাঠে প্রতিপক্ষ দলে পেসারদের খেলা অনেক সহজ হয়ে যায় তাঁর পক্ষে৷ বিশ্বকাপ জয়ের পর রোহিত-বিরাটদের সঙ্গে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে দয়ানন্দের ছবি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেও ভারতীয় দলের সেলিব্রেশনের অংশ ছিলেন দয়ানন্দ।
অনেকেই জানেন না, ভারতের বিশ্বকাপ অন্যতম নেপথ্য নায়ক দয়ানন্দ এ রাজ্যেরই কোলাঘাটের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ভারতীয় দল দেশে ফেরে এর পর দিল্লি, মুম্বই হয়ে গতকাল কোলাঘাটের বাড়িতে ফিরলেন দয়ানন্দ গড়ানি৷ দয়ানন্দ গ্রামের বাড়িতে ফিরতেই তাঁকে নিয়ে রীতিমতো উৎসব শুরু হয়ে যায় কোলাঘাটের জামিট্যা গ্রামে।
কোলাঘাটের কুঁড়ে ঘর থেকে বিশ্বকাপের খেলা দেখেই ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ শুরু দয়ানন্দের। কোলাঘাটের গ্রাম থেকে উঠে এসে প্রথমে কলকাতার বিভিন্ন ক্লাব এবং তারপর আইপিএল-এর জগতে প্রবেশ করেন দয়ানন্দ। এর পর সুযোগ আসে ভারতীয় দলে। ২০২০ সাল থেকে ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত দয়ানন্দ। ২০২৩-এ একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে হারেরও সাক্ষী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বার্বাডোজে
রোহিত-বিরাটদের মতোই দয়ানন্দেরও অপেক্ষার অবসান হয়েছে৷
তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হয়ে ফিরলেও বাবার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ব দয়ানন্দ। বাবার অসুস্থতার কারণেই তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি। এ দিন কোলাঘাট থেকে জামিট্যা গ্রাম পর্যন্ত শোভাযাত্রা করে দয়ানন্দকে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা। দেওয়া হয় সংবর্ধনা৷ গ্রামবাসীদের শুভেচ্ছা পেয়ে আপ্লুত দয়ানন্দও। দয়ানন্দের পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও।