নদী বাঁচানোর আহ্বান নিয়ে পথসভা ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ

Social

সোশ্যাল বার্তা: নদী বাঁচানোর আহ্বান নিয়ে জলঙ্গী নদী সমাজের ডাকে রবিবার এবং সোমবার টানা কৃষ্ণনগর পোষ্ট অফিস মোড় এবং বিভিন্ন বাজারে পথসভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সদস্য শ্রী ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জী জানান, নদী ও নদী নিয়ে যাদের জীবিকা তাদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে পরিবেশের অবনতির কথা তুলে ধরতে এই বিশেষ কর্মসূচি।

জলঙ্গি নদী সমাজের সংগঠনের সদস্য ডাঃ কৌশিক সরকার জানান, “জনগণের দাবীগুলিকে জনসমক্ষে তুলে আনতে বিভিন্ন রকম কর্মসূচী ও রাস্তায় নেমে বিগত সাড়ে চার বছর ধরে কাজ করে চলেছে জলঙ্গি নদী সমাজ, তিনি আরো জানান সংগঠনের সদস্যরা রবিবার ও সোমবার ২ দিন ধরে মাইকিং, লিফলেটিং ও গণ স্বাক্ষর অভিযান চালায় স্থানীয় বাজারে এছাড়াও পথসভা করে মানুষকে সচেতন করার কাজ করা হয়, আমাদের দাবি গুলো হলো:-
১) জলঙ্গি নদীর উপর যে রেল ব্রিজ রয়েছে এবং নতুন ১২ নং জাতীয় সড়ক এই দুই ব্রিজের নিচের মাটি তোলা।
২) জলঙ্গী নদীর কালোজল আসা বন্ধ করা।
৩) মাছ ধরা পেশা বন্ধ করে অসংগঠিত পরিযায়ী শ্রমিক হওয়া আটকানো।
৪) নদী পাড়ে অবৈধ বিনোদন পার্ক অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৫) মৎস্য বাজারের পার্কিং ব্যবস্থা ঠিক করা প্রয়োজন।
আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে অনেক মানুষ এগিয়ে এসে এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে”।

এই কর্মসূচিতে জলঙ্গি নদী সমাজ এর সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত থাকতে দেখা যায় এপিডিআর কৃষ্ণনগর শাখা এবং কৃষ্ণনগর ঐকতান সংগঠনের সদস্যদের।

ড.অমিতাভ সেনগুপ্ত জলঙ্গী নদী সমাজের সদস্য এবং সংগঠক আরো জানান, এই দাবী গুলিকে কেন্দ্র করে বিগত ৬-৭ মাস ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচী করা হয় এবং আগেও জেলাশাসক এবং কৃষ্ণনগর পৌরসভার কাছেও চিঠি জমা করা হয় ।

এছাড়াও রেলওয়ের ডিআরএম শিয়ালদা ডিভিশন এবং NHAI এর রিজিওনাল হেড কে রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠানো হয় জলঙ্গী নদীর ওপর নব নির্মিত সড়ক ও রেল ব্রিজ সম্প্রসারণের জন্য যে সকল দায়িত্ব প্রাপ্ত কন্ট্রাক্টর কোম্পানিকে বরাত দিয়েছেন তারা তাদের কাজ ঠিক করে করছেন না, নদীর নিচে মাটি তুলছেন না, এতে মৎস্যজীবি এবং কৃষিজীবীদের রুজী রুটির সমস্যা দেখা দিচ্ছে, পরিযায়ী অসংগঠিত শ্রমিক হতে বাধ্য হচ্ছেন, সংগঠনের নতুন সদস্য শ্রী বিপ্লব মজুমদার জানান তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রিবেণী কনস্ট্রাকশন(রেল) KCC কনস্ট্রাকশন(NHAI) এর প্রজেক্ট অফিসে গিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারদের সাথেও কথা বলেন এবং তারা আশ্বাস দেন এই পরে থাকা মাটি তারা তুলে দেবেন।

Leave a Reply