বিরল গ্রুপের রক্তদান করে প্রাণ বাঁচালেন নদিয়ার যুবক

Social

সোশ্যাল বার্তা: প্রচন্ড গরমে রাজ্যের অধিকাংশ ব্লাড ব্যাংক প্রায় রক্তশূন্য। অনেক সময় অপারেশনও আটকে যাচ্ছে রক্তের অভাবে। নদীয়া জেলা কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগর হরিজন জনপদের নারায়ণ হাঁড়ি,মুখে টিউমার নিয়ে ভর্তি হয় শক্তি নগর জেলা হাসপাতালে। জানা যায় তার রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ। এই বিরল গ্রুপের রক্তের যোগান পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। চিকিৎসক ডোনার ছাড়া সঠিক রক্তবিহীন অবস্থায় -ঝুঁকি নিয়ে অপরেশন করতে চায়নি। ২৫শে মে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয় তাকে। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় তার স্ত্রী কালিদাসী।

শরীরের অবনতি হওয়ায়, আবার খোঁজ পরে সেই বিরল গ্রুপের রক্তের কিন্ত গত তিন দিন ধরে কোত্থাও রক্ত না পেয়ে হতাশ হয়ে পরে তার পরিবার। বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। কিন্তু তেমন কোনো সদুত্তর পায়নি।

বিষয়টি নজরে আসে নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা রানাঘাটে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত সুজয় ঘোষের। সুজয় ঘোষের ও রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ।

যেহেতু রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ তাই তিন মাস অন্তর অন্তর যখনই রক্ত দরকার হয় সুজয় ঘোষ রক্তদান করেন।

গতকাল অফিসে গেলে ফোন পেয়ে চলে আসেন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে। তারপরে আবার রানাঘাটে ফিরে যান তার অফিসে।

(রক্ত দান করে ট্রেনে অফিসের পথে সুজয় ঘোষ)

এই প্রসঙ্গে সুজয় ঘোষ বলেন, দুপুরে হাসপাতালের সার্জিক্যালের ওয়ার্ডে পৌঁছে বুঝতে পারি-খুবই কঠিন পরিস্থিতি, তাতে সহযোগিতার ভারচুয়ালি দু’এক জন থাকলে ও ম্যানুয়ালি কেউ নেই। মেয়ে দু’জনের পরিবার ও সুইপারের কাজ করে, আর থাকে ওদূরে-ব্যান্ডেল ও মেমারি তে। তাই অসহায় নিরুপায় ব্যক্তির – কঠিক পরিস্থিতি পাশে না দাঁড়িয়ে পারলাম না।
যদি কিছু দিন এই মুমূর্ষু রোগী আয়ূ বাড়িয়ে দেওয়া যায় -সর্বদা সেই চেষ্টায় করে গেছি।’

উল্লেখ্য নদীয়ার কৃষ্ণনগরের এই সুজয় ঘোষ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ছুটির দিন পেলেই বেরিয়ে পড়েন বিভিন্ন সেবামূলক কাজে। নিউ সোশ্যাল বার্তার পক্ষ থেকে সুজয় ঘোষ কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

Leave a Reply