পরিবারের উদ্যোগেই রক্তদান শিবির ! পারিবারিক সদস্যের মৃত্যুবার্ষিকীতে রক্তদান শিবির

Social

মলয় দে নদীয়া :- একসময় রক্তদান সচেতনতার বিষয় থাকলেও এখন সচেতন নাগরিকের কর্তব্যের বিষয়। তাইতো ক্লাব বারোয়ারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সামাজিক রাজনৈতিক ধর্মীয় যে কোনো অনুষ্ঠানে মহতি রক্তদান লক্ষ্য করা যায়। জন্মদিন হোক কিংবা শুভ বিবাহ তাতেও আশীর্বাদ স্বরূপ রক্ত দিয়ে থাকেন এমন নজিরও আছে কিন্তু কোনো অনুষ্ঠান নয়, শুধুমাত্র ব্লাড ব্যাংক গুলির গ্রীষ্মকালীন রক্তাল্পতা দূর করতে এগিয়ে এলো নদীয়ার ফুলিয়ার ঘোষ পরিবার।

শুধুমাত্র পরিবারের লোকজন এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন দিয়েই যে একটি রক্তদান শিবির সফলভাবে হতে পারে তা করে দেখালো নদীয়ার এক পরিবার। শান্তিপুর ব্লকের নবলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ফুলিয়া ব্যাং গর্ত গ্রামের “ঘোষ পরিবার” আজ আয়োজন করেছিল রক্তদান শিবিরের। একান্নবর্তী পরিবারে যার সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ৪২ জন। যার মধ্যে ৩৫ সদস্যই ভোটার। এই অঞ্চলে এই ঘোষ পরিবারের সুনাম ছড়িয়ে আছে। এই পরিবারের একদা সদস্য অজিত ঘোষের স্মৃতির উদ্দেশ্যেই পরিবারের তরফে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন। রক্তদাতা পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব। পরিবারের অন্যতম উদ্যোক্তা বিকাশ ঘোষের কথায় ৫০ জন এই শিবিরে রক্ত দেবেন।

পরিবারের অপর সদস্য ও প্রয়াত অজিত ঘোষের ভাই অমর ঘোষ জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতার তাগিদে এই আয়োজন।

রক্ত সংগ্রহ মেডিকেল দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের সর্বোচ্চ গ্রহণ ক্ষমতা ৫০ ইউনিট পূরণ হয়েছে এই বাড়িতে। কোন পরিবারের এই ধরনের উদ্যোগ তারাও প্রথম দেখলেন বলেই জানিয়েছেন । কলকাতার এক মেডিকেল কলেজ থেকে ভ্রাম্যমান গাড়ি নিয়ে রক্ত সংগ্রহ করতে এসেছেন কর্মীরা। খবর পেয়ে দলমত নির্বিশেষে ছুটে আসেন ফুলিয়ার বহু রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। ঘোষ পরিবারের পাশে থাকার জন্য এই অঞ্চলের অর্থাৎ রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জি উপস্থিত হন এই শিবিরে। তার কথায়, সামাজিক সংগঠনগুলি শিবির অনেক করে থাকে ঠিকই কিন্তু একটি একান্নবর্তী পরিবারের উদ্যোগে এই রক্তদান শিবির অন্য মাত্রা যেমন নিয়েছে তেমনি সচেতনতার সামাজিক বার্তাও তারা দিচ্ছেন। তাই পরিবারের পাশে থাকতেই এখানে উপস্থিত হয়েছি।

Leave a Reply