মলয় দে নদীয়া:-চিকিৎসার আরও এক বিরাট সাফল্য। প্রায় তিন কিলো ওজনের টিউমার সফলভাবে অস্ত্র প্রচার করে রোগীকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচালেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাটি নদীয়ার একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের। জানা যায় হরিশপুরের বাসিন্দা নীলিমা পাত্র প্রায় মাস ছয়েক ধরে জটিল রোগে ভুগছিলেন। এদিক সেদিক বিভিন্ন হাসপাতাল নার্সিংহোমে চিকিৎসকদের দেখিয়েও সুফল মেলেনি তার। এরপর চিকিৎসক ভবতোষ ভৌমিকের শরণাপন্ন হন তিনি। তার চেম্বারে যাওয়ার পরেই ওই চিকিৎসক অনুমান করেন তার লোয়ার আব্দমেন অর্থাৎ তলপেটে বিশালাকার সাইজের একটি টিউমার থাকতে পারে। এরপরেই আল্টাসনোগ্রাফি সহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয় ওই রোগীকে।
ডাক্তারের আনুমানই হয়ে যায় সঠিক। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে ওই মহিলার তলপেটে রয়েছে একটি বিশাল আকার টিউমার। টিউমারের আকার এতটাই বড় যে জরুরী ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। এরপরেই চিকিৎসক ভবতোষ ভৌমিক, অরূপ বিশ্বাস এবং এনাসস্থিসিয়া চিকিৎসক প্রদীপ কুমার দে ও একজন সহকারী মিলে জরুরি ভিত্তিতে করা হয় ওই রোগীর অস্ত্রোপচার। প্রায় বেশ কয়েক ঘন্টা সময় লেগেছে ওই টিউমারটি অস্ত্রোপচার করে বার করে আনতে।
অপারেশনের পর টিউমারের ওজন প্রায় তিন কিলোর কাছাকাছি বলে জানান চিকিৎসক ভবতোষ ভৌমিক। ১০০% সফল এই অপারেশনে বর্তমানে সুস্থ রয়েছে বলে জানান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শহরতলিতেই উচ্চমানের এই চিকিৎসা বর্তমানে পেয়ে খুশি রোগীর পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজন।