লক্ষণ সর্দারের লাঠির উপর ভরসা করত পেতেন তৎকালীন জমিদাররা ! সেই লাঠিই ১০৭ বছরের বৃদ্ধকে রেখেছে সচল

Social

মলয় দে নদীয়া:- একসময় যে লাঠির ভয়ে পালাতো ডাকাত দল, জমিদাররা যে লাঠির ওপর ভরসা করতেন আজও সেই লাঠিই লক্ষণ সরদারের সর্বক্ষণের সঙ্গী  ১০০ বছর পার করা জরাজীর্ণ শরীরটিকে চলাফেরা করানোর জন্য।

বয়সের ভারে অনেক স্মৃতি আজ ম্লান তবে লক্ষণ সর্দারের কথায় উঠে আসলো নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতের তেঘরি গ্রামে তাদের তিনটি পরিবার থাকার কারণে গ্রামের নাম তেঘরী। জমিদার প্রথা উঠে যাওয়ার পর শেষ জীবন প্যান্ডেলের কাজ করলেও জীবনের প্রথমদিকে বাবা কাকার মতন লাঠিয়ালের কাজ করতেন তিনি শান্তিপুর গুপ্তিপাড়া বীরনগর রানাঘাট সহ নদীয়া জেলার সে সময়ের তাবড় জমিদারদের ভরসা ছিল এই লক্ষণ সর্দার।

বর্তমানে তার বয়স ১০৭ বছর। বৌমা সুলেখা শশুরের বয়সের স্বপক্ষে যুক্তি দেন তার সমসাময়িক সকলেই প্রায় ১০০ বছরের কাছাকাছি ছিল আজ থেকে ৭-৮ বছর আগে তারা মারা গেছে সেই হিসেবেই তার ১০৭ তবে এই বয়সে এখনো লাঠির উপর ভর করে হেঁটে চলে বেড়ান শারীরিক কোনো জটিল সমস্যা নেই তবে ধীরে ধীরে হাঁটাচলা করেন খাওয়া-দাওয়া স্নান নিজের কাজকর্ম নিজেই করতে পারেন এখনো ।

ছেলে বীরেন সরদার বলেন, তাদের ছোটবেলায় এলাকার যারা প্রবীণ তাদের মুখ থেকেই শুনেছেন দেশভাগের সময়েও তার বাবা ছিলেন যুবক।
লক্ষণ সরদার অবশ্য এত বছরের পুরনো স্মৃতি মনে আনতে পারছিলেন বেশ কিছুক্ষণ বাদে বাদে, শোনালেন সে সময় নকশাল আন্দোলন থেকে শুরু করে শান্তিপুরের তৎকালীন বিধায়ক স্যার অসম্মঞ্জদের গ্রামীন সংগঠনের কথা। তার সাথে সুসম্পর্কের কথা।
দেশভাগের নানান কথা, ১৮ ই আগস্ট নদীয়া স্বাধীনতার কথা আরো কত কি!

তবে প্রতিবেশীদের মতে এরকম একটি প্রবীণ মানুষকে এলাকার জনপ্রতিনিধি হোক কিংবা সরকারি তরফে কখনো কোনদিন সংবর্ধিত করা হয়নি। তবে আমাদের সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে রইল তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং নিরোগ সুস্থতার শুভকামনা।

Leave a Reply