মলয় দে নদীয়া:-কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়, আর এই কথা অতীতে বিভিন্ন মনিষীদের বক্তব্যতেও মিলেছে, যাকে আবার নীতিকথাও বলে থাকেন অনেকে।
কিন্তু বাস্তবেও কি এই কথা প্রযোয্য? বা এই কথার বাস্তবতা বলে কি কিছু হয়,? এই প্রশ্নটাও ঘোরে অনেকের মধ্যে।
আর এই কথাটি যে শুধুই কথার কথা নয়, বাস্তবেও এটা সম্ভব তার জীবন্ত উদাহরণ দিলেন নবদ্বীপের এক শিল্পী।
নিজের ইচ্ছে শক্তির ওপর ভর করে ফের একবার ভিন্ন ভাবনায় রুলের ওপর আট(৮) মিলিমিটারের দেবী সরস্বতীর মূর্তী তৈরি দেবী সরস্বতীর প্রতি তার শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন নবদ্বীপের এক অঙ্কন শিক্ষক।নবদ্বীপ শহরের প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা গৌতম সাহা। বয়স যার আনুমানিক ৫৬। পেশায় তিনি একজন অঙ্কন শিক্ষক।
জানা যায় তার পিতা ছিলেন আকাশবাণীর গিতিকার ও শিক্ষক,পরিবারে স্ত্রী সন্তান সহ দুই দিদি, তারাও আছেন লেখালেখি, সংগীত ও শিক্ষাকতা নিয়ে।
এক কথায় শিক্ষা ও শিল্প সত্বায় ঘেরা পরিবার থেকেই উঠে আসা শিক্ষক গৌতম সাহার।
জানা যায় গত লকডাউনের সময় থেকে তিনি এই ক্ষুদ্র শিল্প কলা তথা এই সৃষ্টির কাজ শুরু করেন।
অতীতে বিভিন্ন সময়ে তিনি কখনো মুগডালের ওপর, কখনো ধানের ওপর তো কখনো চকের, বা চালের ওপর মাটি রং দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন মা কালী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাপ্রভু সহ বিভিন্ন দেবদেবী ও মনিষীদের মূর্তী।
আর এবার দেবী সরস্বতীর আরাধনা তথা দেবী সরস্বতীর প্রতি তার শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের জন্য, গত পনেরো দিন ধরে দিন রাত এক করে এবার ফুটি তুলেছেন একটি আনুমানিক ছয়(৬) সেন্টিমিটারের রুলের ওপর মাটি, রং দিয়ে আট ( ৮) মিলিমিটার এর দেবী সরস্বতীর মূর্তী ফুটিয়ে তুলেছেন, আর তা দিয়েই কার্যত আবারাও সকলকে তাক লাগিয়েছেন নবদ্বীপের শিল্পী গৌতম সাহা।
আর এবারের তার এই সৃষ্টি দেখতে বাড়িতে হাজির হচ্ছেন অনেকেই।
মোটের ওপর “ইচ্ছে শক্তি আর নিজের ওপর ভরসা থাকলে যে সকল কাজই করা সম্ভব তা আবারও প্রমান দিলেন এই শিল্পী।