মলয় দে নদীয়া :-০২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে বর্ডার পোস্ট বিজয়পুরের সৈন্যরা, বি.এস.এফ-এর গোয়েন্দা বিভাগ কর্তৃক প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কৃষ্ণগঞ্জ পুলিশ এবং রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই) এর দলগুলির সাথে সীমান্ত এলাকায় কাজ করে।
৩০ নভেম্বর – ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩ দুই দিনব্যাপী যৌথ অভিযানের সময়, নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ সীমান্ত গ্রাম বিজয়পুরে তল্লাশির সময় মোট ২৬টি সোনার বিস্কুট এবং ০৮টি সোনার চুড়ি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টাকালে একটি পিস্তল, তিনটি জীবন্ত কার্তুজ, একটি ম্যাগাজিন, দুই কেজি গাঁজা, ৬৯ বোতল ফেনসিডিলসহ মোট আট চোরাকারবারীকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা সোনার ওজন ৩.৫২৫ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য ২১৮৫৫০০/- টাকা।
১ ডিসেম্বর সকালে ধৃত চোরাকারবারীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিজয়পুর গ্রাম, জেলা নদীয়া, বিএসএফ জওয়ানরা কৃষ্ণগঞ্জ পুলিশ ও রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর, কলকাতার কর্মীদের নিয়ে আবারও সীমান্ত গ্রাম বিজয়পুরে অভিযান চালায়। তল্লাশিকালে একজনের বাড়ি থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তল্লাশি অভিযানে বিএসএফ জওয়ান একের পর এক তথ্য পেতে থাকে এবং এর মধ্যে আরও একটি সাফল্য আসে এবং এর পরে আর এক জনকে আটক করে, তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাঠে লুকানো বস্তুর সন্ধান অনুসারে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি জীবন্ত কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
এরপর পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদে তথ্যের ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি বাড়ি থেকে ২১ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। তল্লাশি অভিযানে বিজয়পুর গ্রামে আরো ৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।দুই দিনব্যাপী তল্লাশি অভিযানে মোট ০৮ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জব্দকৃত স্বর্ণ ও স্বর্ণসহ গ্রেফতারকৃত চার পাচারকারীকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং উদ্ধার করা পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিনটি জীবন্ত কার্তুজ ও ফেনসিডিল ও গাঁজার বোতল কৃষ্ণগঞ্জ পুলিশকে হস্তান্তর করে বিএসএফ ।