মলয় দে নদীয়া :-ঐতিহ্যপূর্ণ নদীয়ার শান্তিপুরের রাসযাত্রা। এখানে যেমন আলোকসজ্জার উৎকর্ষতা দেখা যায় তেমন থাকে গগনচুম্বি মন্ডপ কিংবা বিষয়ে ভাবনার থিম। থিমের প্রভাব পরে প্রতিমাতেও। বিভিন্ন দানাশস্যের দ্বারা নির্মিত প্রতিমা জলে বিসর্জন দেওয়ার পর তা থেকে নতুন চারা গাছ জন্মে। অর্থাৎ প্রতিমা থেকে সবুজের বার্তা অন্যদিকে শিল্প নৈপুণ্যতার নিদর্শন। শান্তিপুরে এ ধরনের বেশ কিছু অসাধারণ প্রতিমা নির্মিত হয়েছে। যার মধ্যে ভগবতী দাস রোডের যুবকবৃন্দের পরিচালনায় রাধাকৃষ্ণ মাটি দ্বারা নির্মিত হলেও মন্ডপসজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছে ঘাস। ভেতরের দিকে বেশ কিছু ক্যানভাসে উঠে এসেছে বিভিন্ন কৃষক এবং কৃষিজাত পণ্য অথবা চাষবাসের চিত্র এই সবই প্রস্তুত হয়েছে ভুট্টা ছোলা মটর গম ধান কলাই মুগ মসুর বিভিন্ন দানাশস্য দিয়ে।
একই রকম ভাবে প্রতিমা নির্মিত হয়েছে কামারপাড়া ইয়ং স্টাফ পরিচালিত রাধা কৃষ্ণ প্রতিমা। যদিও নটরাজ তাদের মূল পুজো প্রতিবছরের মতন এবারে ২৮ বছরেও প্রতিমার বৈচিত্র এনেছেন তারা। গতবার এলাচ গোল- মরিচ লবঙ্গ সহ বিভিন্ন মসলা জাতীয় বিষয় দিয়ে প্রস্তুত করেছিলেন প্রতিমা।
অন্যদিকে অদ্বৈত সড়ক লোকনাথ মন্দিরের সামনেও অন্যান্য বছরের মতন এবার ৩২ তম বছরেও অসাধারণ রাধা কৃষ্ণ নির্মিত হয়েছেন সম্পূর্ণ অন্যরকম ভাবনায়। এবছর ভুট্টা এবং বিভিন্ন দানা শস্য দিয়ে। যা দেখতে উপচে পড়া ভিড় জমেছে। তবে প্রত্যেকেই জানিয়েছেন তারা কেউই মূল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন না তা বাদেও দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষজনের জন্য বিসর্জনের পরের দুদিন তারা প্রতিবার রেখে দেন মণ্ডপে।