মলয় দে নদীয়া :-ঐতিহ্যপূর্ণ জগৎ বিখ্যাত শান্তিপুরের রাস আর মাত্র তিন দিন বাকি। এ সময় সকল বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তাদের রাতের ঘুম উড়েছে মন্ডপসজ্জা নির্মাণ পালবাড়ি থেকে প্রতিমা আনা আলোকসজ্জা দিয়ে সাজিয়ে তোলা এ সমস্ত কাজে।
নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিলিপারা শ্বেত নারায়ণ পুজো কমিটির সদস্যদেরও রাতের ঘুম উঠেছে তবে কর্মব্যস্ত তাই নয়, পূজোর আয়োজনেও নয়, রীতি মতন আজ থেকে তিন মাস আগে মন্ডপ সজ্জার জন্য অগ্রিম অর্থ নিয়ে বেপাত্তা হওয়া ব্যবসায়ীকে খুঁজতে।
ক্লাব সদস্যদের অভিযোগ, বিগত দু’বছর আগে তাদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান থানার অন্তর্গত বড়শুলের অন্নদা পল্লীর বাসিন্দা ভৃতিভূষণ মন্ডল পিতা প্রণব মন্ডল নামে এক ব্যবসায়ীকে দিয়ে তারা মন্ডপ সজ্জা করেছিলেন। এবারেও তার সাথেই গত 22 10 2023 তারিখে ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা অগ্রিম দিয়ে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের মন্ডপ নির্মাণের চুক্তি হয় লিখিতভাবে। চুক্তি অনুযায়ী কালীপুজোর পর থেকে কাজে হাত দেওয়ার কথা থাকলেও একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি কয়েকদিন আগে তিনি আরো ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আশ্বস্ত করেন এক সপ্তাহের মধ্যে বেশি পরিমাণে শ্রমিক লাগিয়ে কাজ তুলে দেবেন। সেইমতো এক গাড়ি বাঁশ ফেলেন।
কিন্তু তারপর থেকে আবারও তার মোবাইল সুইচড অফ। হাতে মাত্র আর তিন দিন বাকি তাই যথেষ্ট উদগ্রীব হয়ে গতকাল বারোয়ারী সদস্যরা তার বাড়িতে পৌঁছেও তাকে বাড়িতে পাননি, স্ত্রীর বলা কথা অনুযায়ী চন্দননগরে একটি মণ্ডপে পৌঁছে তারা দেখেন সেখানকার পুজো কমিটির সদস্যরাও ওই ব্যবসায়ীর প্রতি ক্ষিপ্ত কারণ তাদের প্রতিমা বিসর্জন দিতে পারছেন না শুধুমাত্র মণ্ডপের গেট ছোটো করার জন্য। তাই মন্ডপ খোলার জন্য, তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তন্ন তন্ন করে খুঁজে বিফল হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় তিলিপাড়ার ছেলেরা শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন।
ওসি সিআই সহ পুলিশ আধিকারিকদের অনুরোধ জানান শান্তিপুর থানা বর্ধমান থানার সাথে যোগাযোগ করে, তাদের লিখিত fir অনুযায়ী গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণ সহ অগ্রিম দেওয়া অর্থ ফিরিয়ে দিক, অথবা দায়িত্ব নিয়ে এই দুদিনের মধ্যে মণ্ডপ নির্মাণ করে দিক।সমগ্র পাড়ার এই দুঃসময়
শান্তিপুর থানা তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার চেষ্টা করছে বলেই জানা গেছে।