মলয় দে নদীয়া:- বড়মার প্রতি বড়মার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি জানানোর জন্যেই রানাঘাটে চিত্রশিল্পী গৌরব সরকার নারী মুখে ফুটিয়ে তুললেন বড়মার অবয়ব।
নৈহাটির বড়মা এই বছর ১০০ বছরে পদার্পণ করল। গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের মধ্যে অত্যন্ত জাগ্রত দেবী মা বড়মা। প্রত্যেক বছর বিশেষ করে কালীপুজোর সময় লক্ষ লক্ষ ভক্তরা বড় মার কাছে আসেন কেউ বড়মাকে দেখতে কেউবা পুজো দিতে। দিন যত যাচ্ছে নৈহাটির বড়মার মাহাত্ম্য ততই বিস্তার লাভ করছে গোটা দুনিয়ায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়, হাতেগোনা দিন বাকি কালীপুজোর, ইতিমধ্যেই বড়মার একবার দর্শন পেতে ভক্তের ঢল নেমেছে নৈহাটি স্টেশনে।
ঠিক তেমনি নদীয়ার রানাঘাট তালপুকুর পাড়ার বাসিন্দা চিত্রশিল্পী গৌরব সরকার বড়মার বহুদিনের ভক্ত। রানাঘাটে স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী সঞ্জু কুন্ডুর কাছেই তার চিত্রকলা প্রশিক্ষণ নেওয়া। তার বহু দিনের ইচ্ছে ছিল বড়মার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা কোন জীবন্ত নারীর ওপরে। এরপরেই অল্প অল্প করে সে সমস্ত সাজ সরঞ্জাম জোগাড় করে নিজেরই এক পরিচিতের মুখে ফুটিয়ে তোলেন বড় মায়ের অবয়ব। হঠাৎ করে কেউ যদি দেখেন চোখ ধাঁধিয়ে যাবে তারও! সাক্ষাৎ যেন জীবন্ত বড় মা রয়েছে দাঁড়িয়ে! এই শিল্প ইতিমধ্যেই প্রশংসিত করেছেন একাধিক গুণী মানুষজনেরাও।
উল্লেখ্য, কালীপুজোর আগেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে নৈহাটির বড় মা কালীর স্থায়ী নতুন মন্দিরের, সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে কষ্টি পাথরের বড়মার মূর্তিও। মন্দিরের কাছেই তৈরি হচ্ছে বড়মার সুবিশাল মাটির মূর্তি, প্রতিবছর এই মূর্তিতেই বড়মাকে পুজো করা হয়। ভক্তরা সারা বছর নতুন মন্দিরে বড়মার কাছে পুজো দিতে পারবেন তিন বেলা। সকাল আটটা থেকে দুপুর একটা, দুপুর ১:৩০ থেকে ২:৩০ ও বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। বড়মার কাছে কিছু মন থেকে চাইলে কাউকেই খালি হাতে ফেরার না মা। তাই মানসিক পুজোর জন্য মন্দিরে ছটার পর কথা বলতে পারেন কমিটির সঙ্গে। প্রতিদিনই বহু ভক্তদের ভিড় হচ্ছে বড় মাকে পুজো দেওয়ার জন্য, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে লাইন দিয়ে সকলকে প্রবেশ করানো হয় নতুন মন্দিরে।