পুজোর পরেই গন আন্দোলন, পশ্চিম বঙ্গের সমস্ত গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের এক হওয়ার ডাক বিজিটিএ’র*

Social

ঘোষিত পে কমিশনেই টিজিটি স্কেল ও কেরিয়ার এডভ্যান্সমেন্ট স্কিম এর দাবীতে ফুঁসছে গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের এক এবং অদ্বিতীয় অরাজনৈতিক সংগঠন “বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান” সংক্ষেপে বিজিটিএ। আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য সারা পশ্চিম বঙ্গের সমস্ত গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের একত্রিত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “টিজিটি স্কেল ও ক্যাস ফেসিলিটি ছাড়া কিছুতেই সরকারকে পে কমিশন লাগু করতে দেব না। তাছাড়া এই পে কমিশন সম্পুর্ন অবৈজ্ঞানিক, অযৌক্তিকও। আমরা দেখতে চাই যে সরকার কি ভাবে ভারতীয় সংবিধানের অন্যতম স্তম্ভ মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ কে অমান্য করে এই ভাবে এগোতে পারে, আর কতদিনই বা এটা করতে পারে।” তিনি আরো বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে এই সরকারে বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা রজু করেছি। টিজিটি’র জন্য আইনগত ভাবে যদি সুপ্রীম কোর্টে ও যেতে হয় তো বিজিটিএ পিছপা হবে না। এখন বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো মরসুম চলছে। কিন্তু এই অবসরে বিজিটিএ গন আন্দোলনের সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখছে। উৎসব শেষ হলেই সরকারকে কোন সুযোগ না দিয়েই রাস্তায় নামবে বিজিটিএ। তাই আমি আমার সহকর্মী পশ্চিম বঙ্গের সমস্ত গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের কে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও রাজনীতি ব্যতিরেকে এই মহা আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান জানাচ্ছি”।

প্রসঙ্গত গ্রাজুয়েট টিচারদের টিজিটি স্কেল ৯০০০-৪০৫০০ ও গ্রেড পে ৪৬০০ এর জন্য দীর্ঘ দিন লড়াই চালিয়ে আসছে বিজিটিএ নামক এই শিক্ষক সংগঠনটি৷ তারা দাবী করেছে এই পে কমিশনে এক জন পিজিটি টিচার ও একজন টিজিটি টিচারের প্রাথমিক মূল বেতনের তফাৎ ৩২০০ থেকে এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৯২০০ টাকা যেটা হওয়ার কথা ছিল ২৭০০ এর আসে পাশে।