শোলার দাম আকাশ ছোঁয়া! কোজাগরী লক্ষ্মী পূজায় পাল্লা দিয়ে দাম বৃদ্ধি শোলার কদমের

Social

মলয় দে নদীয়া :-রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষী পূজা, তার আগে জেলার বিভিন্ন ফলের বাজার থেকে শুরু করে দশকর্মার বাজার লোকে লোকারণ্য। ফল থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও আকাশ ছোঁয়া।

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে চলছে লক্ষ্মীপুজোর কদম ফুল সহ, পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির কাজ। প্রতিবছর লক্ষ্মীপুজোর আগে এদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে এখন শুধু পুজোর সামগ্রী বানাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পরিবারের এই লক্ষ্মীরা। শিল্পীদের হাতে তৈরি এই সামগ্রী খুবই হালকা হওয়ায় এর কদরও বেশী। কিন্তু ওজনে হালকা হওয়ার সঙ্গে, দামও তাঁরা হালকা-ই পান বলে আক্ষেপ শিল্পীদের।

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর অন্যতম উপকরণ সোলার মালা। শোলাকে ছুরি এবং ধারালো যন্ত্রপাতি দিয়ে সুনিপুণ দক্ষতার সঙ্গে কেটে তা দিয়ে বানানো হয় কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর অন্যতম প্রধান উপকরণ মালা এবং কদমা। সুনিপুনভাবে কেটে সেগুলিকে বিভিন্ন রঙ দিয়ে কারুকার্য করে কারিগরেরা নিয়ে আসে বাজারে সরাসরি কিংবা তারা বিক্রি করে দেন দশকর্মাদের দোকানে। এরপর পুজোর আগের দিন থেকে শুরু হয়ে যায় সেই সমস্ত মালার কেনাকাটির ভিড় গৃহস্থের।

এবার বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সোলার উৎপাদন কম তার উপরে অন্যান্য জিনিসপত্র এবং সামগ্রীর দাম বাড়াতে বেড়েছে এই সমস্ত মালা তৈরীর খরচাও। তবে সেই অর্থে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না সেই সমস্ত কারিগরেরা। এ কারিগর আমাদের জানান প্রত্যেক বছর এই সমস্ত ভালা বানাতে যে সমস্ত প্রকরণ ব্যবহার করা হয় তার দাম বেড়েই চলেছে। ১ কেজি সুতা আগের বছর ১৭০ টাকা দিয়ে কিনলেও এ বছর তা কিনতে হয়েছে ২২০ টাকা দিয়ে। সেই কারণে উপকরণের দাম বাড়াতে স্বাভাবিকভাবেই বাড়াতে হচ্ছে মালার দামও। তবে উপকরণের দামের সঙ্গে সমতুল্য হাড়ে দাম বানাতে পারছেন না তারা ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই। এবং সেই কারণেই আগের মত লক্ষ্মীর মালা বিক্রি করে লক্ষ্মীর লাভের দিশাও দেখতে পাচ্ছেন না তারা।

Leave a Reply