মলয় দে, নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুর গবারচর তালতলা পাড়া এলাকার অমিত বিশ্বাসের অভিভাবক এবং একমাত্র উপার্জনের উপায় বলতে তিনিই। তাঁত শ্রমিক হওয়া সত্বেও ক্রমশ ধুঁকতে থাকা তাঁত শিল্পের মায়া কাটিয়ে ১২ বছর আগে বিদেশে পাড়ি দেন সংসার খরচ যোগাতে । ১৬ বছর আগে বিবাহ করেন। ১৪ বছরের মেয়ে এবং স্ত্রীর সাথে সারাবছর যোগাযোগ বলতে ইন্টারনেট। তবে ইউক্রেন ফের যাত্রা ৭ মাস আগে, সেখানে ফুড ডেলিভারি কাজ করতেন তিনি। ছয় মাস আগে জন্মগ্রহণ করা সদ্যজাত পুত্র সন্তানের মুখ দেখলেন গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার পর। তিনি জানান, চারিদিকে বিস্ফোরণের মাঝে, পথ হাঁটার সাহস যুগিয়েছে ছেলের মুখ দেখার তাগিত।
যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা জানিয়ে দিনের মধ্যে মাত্র একবার যোগাযোগ হতো পরিবারের সাথে, তবে ঘরে ফেরানোর জন্য খুশি স্ত্রী সাধনা বিশ্বাস। পরিবার সূত্রে জানা যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রাক্তন মেম্বার কৃষ্ণ রাহা নিয়মিত খোঁজখবর নিয়ে স্থানীয় বিডিও এসডিও ডিএম সহ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সে ব্যাপারে তত্ত্বাবধান করতেন নিয়মিত।