মলয় দে নদীয়া:- নীলকন্ঠের দেওয়া খবর অনুযায়ী ওমা ফিরছেন কৈলাসের পথে।কিন্তু যাদের কাঁধে ভর করে সুবিশাল মূর্তি বিসর্জন হয় যাদের বিপজ্জনক ঝুঁকিপূর্ণ অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ তাদেরই খোঁজ নিলাম আমরা।
কেউবা দিনমজুর কেউবা কৃষি শ্রমিক কেউ আবার রেশন কিংবা বিভিন্ন দোকানে কাজকর্ম করে থাকেন তবে পুজো আসলে বাড়তি রোজগারের আশায় হাত লাগান উৎসবের প্রধান প্রতিমা কারখানা থেকে বের করে গাড়িতে তোলা কিংবা ঠাকুরদালান অথবা পূজা মন্ডপে সাবধানতার সাথে নামিয়ে দেওয়ার।
ইদানিং পুরোহিত শিল্পী ঢাকি কে সংবর্ধিত করার কিছু কিছু ব্যতিক্রমী নিদর্শন চোখে পড়লেও যারা এই অত্যন্ত বিপদজনক ভাবে প্রতিমা তোলা নামানোর কাজ করে থাকেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানানোর নিদর্শন অবশ্য খুব বেশি চোখে পড়ে না।
কোমরে গামছা শক্ত করে বেঁধে কেউ বা দা শাবল কিংবা বাঁশের লম্বা বাতা নিয়ে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন পূজো প্রাক্কালে।
শান্তিপুরের এইরকম বেশ কিছু শ্রমিক একত্রিত হয়ে বেশ কিছু বছর ধরে এ কাজ করে আসছেন। এমনকি সুদূর কলকাতা পর্যন্ত তারা গাড়িতে করে পৌঁছে যান শুধু এই ঠাকুর না বানানোর জন্য অনেকে তো আবার বহুতল বাড়ি কিংবা ফ্লাটে দুর্গা প্রতিমা তোলার দায়িত্ব দিয়ে থাকেন তাদের উপরেই। তবে এ বিষয়ে তাদের নেই কোন সংগঠন কিংবা whatsapp গ্রুপ। অনেকের ফোন না থাকলেও অদ্ভুতভাবে পালবাড়ীর ডাকে সাড়া দিয়ে নিমেষের মধ্যে পৌঁছে যান সেখানে। অন্যদিকে বিসর্জনের সময় ঘাটে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন নিজেদের কর্ম দক্ষতায় ভাড়া খাটার জন্য । ইদানিং ঢাকি কিংবা পুরোহিত সংবর্ধিত হলেও তাদের সংবর্ধিত করে আগামী দিন অনুপ্রেরণা যোগানোর জন্য রইল আমাদের সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে অনুরোধ।