নিজস্ব প্রতিবেদন, এগরা: প্রকাশিত হল ড.বিষ্ণুপদ পাণ্ডা প্রণীত ড. শান্তনু দলাই সম্পাদিত কবি দিব্যসিংহ দেব কৃত পঞ্চামৃত সিন্ধু’। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী এই গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করলেন। এই গ্রন্থের গ্রন্থস্বত্ত্ব পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা সারদা শশিভূষণ কলেজ এবং কলেজের উদ্যোগে প্রকাশিত হল এই গ্রন্থ। কলকাতার একুশ শতক প্রকাশণী গ্রন্থটি প্রকাশ করে। উপস্থিত ছিলেন এগরা সারদা শশিভূষণ কলেজের অধ্যক্ষ ড. দীপক কুমার তামিলী, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. বাণীরঞ্জন দে, রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ও এগরা অণ্বেষা গোষ্ঠীর সহ সভাপতি ড. প্রণব কুমার পট্টনায়ক , বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় বারিক এবং ড. বিষ্ণুপদ পাণ্ডার পরিবারের সদস্যরা।
সপ্তদশ শতকের ওড়িয়া কবি দিব্যসিংহ দেব ‘পঞ্চামৃত সিন্ধু’ পুঁথিটি রচনা করেন। বর্তমান এই পুঁথিটি ওড়িষা স্টেট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। পুঁথিটির গ্রন্থ রূপ দেওয়ার উদ্দেশ্যে পাণ্ডুলিপি আকারে প্রনয়ন করে গেছেন প্রখ্যাত অধ্যাপক ড. বিষ্ণুপদ পাণ্ডা। তিনি তাঁর জীবৎকালে পাণ্ডুলিপিটি গ্রন্থরূপে প্রকাশ করে যেতে পারেননি। এই অসম্পূর্ণ কাজটি ভূমিকা ও সম্পাদনা সহ গ্রন্থরূপে প্রকাশ করলেন এগরা সারদা শশিভূষণ কলেজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. শান্তনু দলাই।
গ্রন্থটির সম্পাদক ড. শান্তনু দলাই বলেন, “ এটি মধ্যযুগের ভক্তিসাহিত্যর একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। বৈষ্ণবীয় রসশাস্ত্রে যে পঞ্চরসের কথা বলা হয়েছে তার ব্যাখা বিশ্লেষণ এই গ্রন্থে আছে । গবেষক, অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী যাঁরা মধ্যযুগের বাংলাসাহিত্য নিয়ে চর্চা করছেন তাঁদের জন্য এই গ্রন্থটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বাংলা ও ওড়িয়া ভাষার তুলনামূলক সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে সপ্তদশ শতকের এই কাব্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আমার বিশ্বাস।”