মলয় দে নদীয়া:- গতকাল রাতের ট্রেনে ভক্তের বাড়ি কলকাতার কসবায় পুজিতা হতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে সঠিক সময়ে রওনা দিয়েছিলেন গোপালপুরের মৃৎকারখানা থেকে। তিনি প্লাটফর্মে ওঠার পরেই ট্রেন ঢুকলো টিকিট কাটা ছিলো ভেন্ডিং মেশিন থেকে। লক্ষ্মী, সরস্বতী দুই কোলে কাঁকালে থাকলেও, গনেশ কার্তিক কে নিয়ে একটু দুশ্চিন্ত ছিলো। তবে দেবীকে দেখে প্রণাম করতে আসা ভক্তদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের জানালার পাশে সিট পেলেও, নিজেই উঠতে পারলেন না শেষমেষ। প্রকাণ্ড চেহারা তার উপর কোলের দুই মেয়ে, নিয়ে আটকে গেলেন গেটে। ভক্তবৃন্দরা অনেক চেষ্টা করেও, মাকে কিছুতেই ট্রেনে উঠানোর ব্যবস্থা করতে পারলো না।
এদিকে ট্রেন ছাড়ার সময় ঘনিয়ে আসার মুহূর্তে অগত্যা ঘুমন্ত গনেশ এবং কার্তিককে মায়ের কাছে জমা দেন তারা। মৃৎশিল্পী সৌরভ সাহা অসাধারণ প্রতিমা বানালেও, সামান্য চার আঙ্গুল উচ্চতা বেশি করে ৪০ টাকার ট্রেন ভাড়ার বদলে চার হাজার টাকা ভাড়া গুনলেন সড়কপথে ম্যাটাডোর বুকিং করে।
তাই কোনভাবেই মায়ের প্রতি ভক্তি এতটুকু নষ্ট হতে দিতে চাননি তিনি। তবে মায়ের সাথে যাওয়ার কথা ছিল আরো, চারজন মৃত কারখানার সদস্যদের। তাদের মধ্যে এক সদস্য তনময় পাল জানান, গতকাল বেহালায় গেছে তাদের তৈরি দুর্গা প্রতিমা আজ যাচ্ছে কসবায় ভোরের ট্রেনে মানিক তলায়, যাবে অপর এক দূর্গা প্রতিমা। এভাবেই ট্রেন পথে বিভিন্ন পুজোর প্রতিমা তারা পৌঁছে থাকেন। তবে ব্যতিক্রমী হয়ে গেল সামান্য একটু ভুলে। তবে এই সুযোগে, রেল যাত্রী থেকে শুরু করে স্টেশন কর্তৃপক্ষ কিংবা নিরাপত্তা রক্ষিত বা সারাদিন কাজকর্ম করে ফেরা হকাররা দীর্ঘক্ষণ ধরে দুর্গা প্রতিমা কে প্রণাম এবং ভক্তি জানানোর সুযোগ পেলেন।