অঞ্জন শুকুল, নদীয়া : নদীয়া জেলার বেথুয়াডহরির অন্যতম আকর্ষণ বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য ৷ এখানে গোটা অরণ্য জুড়ে চিতল হরিণের স্বর্গরাজ্য ৷ এছাড়াও আছে নীলগাই , ময়ুর , নানা ধরণের পশুপাখি , ঘরিয়াল এবং ময়াল সাপ যাদের দেখতে প্রতিদিন এখানে প্রচুর পরিমানে দর্শণার্থী আসেন ৷ তবে অরণ্য থেকে বেরিয়ে অনেকেই হতাশ হয়ে বলেন হরিণের ঝাঁক দেখতে পাননি ৷
সম্প্রতি গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের কোভিড ১৯শে আক্রান্ত ৷ আমাদের দেশেও লকডাউন চলছিল সঙ্গত কারণে অভয়ারণ্যও বন্ধ ৷ এই সময় দেখা গেলো অন্য ছবি ৷ অরণ্য যেও সত্যিই অভয়ারণ্য হয়ে উঠছিলো হরিণের কাছে ৷ এখানে সেখানে দেখা যাচ্ছিলো হরিণের ঝাঁক ৷ তবে কি প্রতিদিনের এত দর্শণার্থীদের ভিড়ে ওরাও লুকিয়ে থাকতো অরণ্যের গভীর প্রদেশে ? দেখা দিতে চাইতো না মানুষকে ? লকডাউনে মানুষ ঘরে ঢুকে যাবার পর ওরাই কি পেয়ে গেলো আড়াল থেকে বাইরে আসার সাহস ? হয়ত তাই কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেলো প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান ৷ ঝড়ে অরণ্যের অনেক গাছপালা ভেঙে পরার পরও কিন্তু চিত্রটা খুব বদলায়নি ৷ এখনও অরণ্যে চোখ রাখলে দেখা যাবে হরিণের ঝাঁক ৷ কারো চোখে এতটুকু ভয় ভীতি নেই ৷ করোনা , লকডাউন , আমফান প্রকৃতির সব দুর্যোগ জয় করে হরিণরা যেনো তাদের জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ৷