দাবি না মিটলে ৯ ই জানুয়ারী থেকে ধর্ণা ও অনশণ কর্মসূচী ঘোষণা করল শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ।

Social

নিউজ সোশ্যাল বার্তা : এই মুহুর্তের সব চেয়ে বড় খবর বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান কে ঘিরে। তারা দীর্ঘদিন ধরে গ্র‍্যাজুয়েট টিচার সহ পশ্চিম বঙ্গের সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল টিচারদের বিভিন্ন দাবীদাওয়া নিয়ে আইনগত, নিয়মতান্ত্রিক ও গনতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তাদের প্রস্তাবিত পে স্কেল ৯০০০-৪০৫০০, গ্রেড পে ৪৬০০ টাকা এবং ২০০৬ থেকে নোশানাল বেনিফিট বা বেসিকের সাথে ১.১৭ রেশিও তে নতুন বেসিক নির্ধারণ ও তার উপর ২.৫৭ এর প্রয়োগ- এর কোনটাই নেই গত ১৬/১২/১৯ তারিখে প্রকাশিত শিক্ষা দপ্তরের রোপা তে, যদিও সংগঠনের দাবি কিছুদিন আগেই শিক্ষা মন্ত্রী বিজিটিএ প্রতিনিধিদের সাথে এক আলোচনায় তাদের এই সমস্ত দাবী ‘আন্ডার প্রসেস’ বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।

উদ্ভুত পরিস্থিতি তে বিজিটিএ আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে আগামী ৯ই জানুয়ারী থেকে বিকাশ ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্ণা ও আমরণ অনশণ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। এক প্রেস বিবৃতিতে বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান এর সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “পশ্চিম বঙ্গের গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের সাথে চরম অন্যায় করা হয়েছে,হাই কোর্টের রায় মানা হয়নি, তাদের আন্দোলন কে পাত্তা দেওয়া হয় নি, এমনকি সয়ং শিক্ষা মন্ত্রীর আশ্বাস ও এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় নি যদিও শিক্ষকদের রোপা বেরিয়েছে আজ এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই বিজিটিএ যে আন্দোলন শিক্ষা মন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়নের জন্য বিলম্বিত করেছিল আজ তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করল। তবে এখনো সরকারের হাতে সময় আছে এই আন্দোলন বন্ধ করার। আমরা আগামী ৮ ই জানুয়ারী পর্যন্ত সময় দিতে চাই সরকার কে। তাতে কাজ না হলে ঠিক তার পরের দিন থেকে যে আন্দোলন শুরু হতে চলেছে তা পশ্চিম বঙ্গে এযাবৎকাল হয় নি!” সংগঠনের সহ সম্পাদক শ্রী প্রতাপ মন্ডল আরো একধাপ এগিয়ে বলেন, “এই সরকারের গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের দাবী দাওয়া পুরণের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। এই সরকার হাই কোর্ট কেও মান্যতা দেয়না! তাই তারা যে ভাষা বোঝে সেই ভাষাতেই বোঝাবে বিজিটিএ। টিজিটি না পেলে আন্দোলনে আন্দোলনে জেরবার করে দেব আমরা, এবং এই আন্দোলনের রেশ ২১ এর নির্বাচনে যাতে পড়ে সেই সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিতেও আমরা পিছপা হব না।”

Leave a Reply