মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুর শহর থেকে অনেকটাই দূরে হরিপুর পঞ্চায়েতের হেমায়েতপুর গ্রাম। গ্রামের মাঝে একটিই প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেমায়েতপুর প্রাইমারি স্কুল। ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা যুক্ত এই বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৫১ জন। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এই এলাকা ১০০ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ইচ্ছা থাকলেও দূরত্বের কারণে নাচ গান আবৃত্তি নিজেদের ছেলেমেয়েদের শেখাতে পারেনা অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ে পালিত বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানে মাঝেমধ্যে অংশগ্রহণ করেই আনন্দ পান খুঁদে পড়ুয়ারা।
তবে আজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওমর আলি, শিশুদের আনন্দদানের জন্য এবং বিজ্ঞানমনস্ক গড়ে তোলার জন্য অভিনব এক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করা, রাজীব বসুকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। দিনের আকাশ টেলিস্কোপে রাতের আকাশ প্রজেক্টরের মাধ্যমে অন্ধকার ঘরে খুঁদে পড়ুয়ারাদের দেখান তিনি। টেলিস্কোপের চোখ রেখে শিশুরা বড়ই খুশি, এত কাছ থেকে আকাশ দেখতে পেয়ে। শিশু মনের নানান প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন রাজিব বাবু। শিক্ষক ওমর বাবু বলেন, বইয়ের পড়া বোঝানোর থেকে অনেক বেশি সহজতর হয়ে উঠেছে এ ব্যবস্থায়, আগ্রহও সৃষ্টি হয়েছে যথেষ্ট।
রাজীব বাবু বলেন এভাবেই, তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বিনা পারিশ্রমিকে , শিশুদের কুসংস্কার মুক্ত বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার লক্ষ্যে অবিচল।শিশুদের কাছ থেকে আনন্দের ভাগ বসালেন বেশ কিছু আগ্রহী অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা গণ। কর্তৃপক্ষের কাছে অভিভাবকদের আবদার , পঠন পাঠনের সঙ্গে যুক্ত বিষয়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী করার।