মলয় দে, নদীয়া :- দক্ষিণ বঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম নদিয়া জেলা শাখা কমিটির উদ্যোগে রবিবার বিকেলে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা কৃষ্ণগঞ্জের পুনে চাঁদপুর এলাকায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ দিনের বিক্ষোভ সমাবেশে মূলত মৎস্যজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওপার বাংলা বাংলাদেশের দর্শনার একটি সুগার মিলের পরিত্যক্ত বর্জ্য ও আবর্জনা যুক্ত পদার্থ মাথাভাঙ্গা চূর্ণি নদীর জলে মিশে এদেশে প্রবেশ করছে। যার ফলে সুগার মিলের ওইসব দূষিত পদার্থ নদীর জলে মিশে জল দূষিত ও দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে কালো রঙে পরিণত হচ্ছে। জল দূষিত হয়ে যাওয়ার কারণে মাথাভাঙ্গা চূর্ণী নদীতে মাঝেমধ্যেই মরা মাছ ভেসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। নদীর জল দূষণের কারণেই মূলত মাছ মরে যাচ্ছে বলে ধারণা মৎস্যজীবীদের।
ইতিমধ্যেই বন্ধ হতে বসেছে মাথাভাঙ্গার চূর্ণী নদী সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী মৎস্যজীবীদের উপার্জনের পথ কেউ কেউ পেশাবদল করতে বাধ্য হয়েছেন। অবিলম্বে বাংলাদেশের দর্শনার এই সুগার মিলের বর্জ্য পদার্থ নদীর জলে ফেলা বন্ধ করার দাবিতে রবিবার বিকেলে দক্ষিণ বঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম নদিয়া জেলা শাখা কমিটির উদ্যোগে মাথাভাঙ্গা চূর্ণী নদী বাঁচাও এই স্লোগান তুলে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুনে চাঁদপুর এলাকায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে সামিল হলেন মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষজন। অবিলম্বে বাংলাদেশের দর্শনা সুগার মিলের বর্জ্য পদার্থ নদীর জলে ফেলা বন্ধ না করার ব্যবস্থা করলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে তারা হাঁটবেন বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।