মলয় দে নদীয়া :-মিশন নির্মল বাংলা’ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি বৈপ্লবিক প্রকল্প যার লক্ষ্য রাজ্যকে ওপেন ডেফিকেশন ফ্রি করা এবং রাজ্য সরকার এক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে।
২০১৪-১৫ আর্থিক বর্ষে ‘নির্মল বাংলা’ স্বাস্থ্যবিধান কর্মসূচীতে ভারত সরকারের কাছ থেকে ‘দেশ সেরার’ শিরোপা জিতেছে পশ্চিমবঙ্গ। এই কর্মসূচীতে প্রায় ৮.৪৭ লক্ষ শৌচালয় নির্মাণ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভা, পঞ্চায়েত, বিডিও অফিসে এই প্রকল্পহীন সাফাই কর্মীরা কাজ করে থাকেন।
আগামীকাল জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনের প্রাক্কালে আজ এক ঘন্টা স্বেচ্ছায় শ্রমদানের মাধ্যমে, সাফাই অভিযান চালানো হয় বিভিন্ন পুরসভা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে।
সেই মতো শান্তিপুর পৌরসভার পক্ষ থেকেও আজ শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন নিকাশি ব্যবস্থা, শৌচাগার, পরিত্যক্ত স্থান ঝুড়ি কোদাল নিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করা ব্লিচিং ছড়ানো এবং ডেঙ্গুর ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে ড্রেনে মশার লার্ভা মারার জন্য লিকুইড দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল সুপার ডক্টর তারক বর্মন, শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক, সিএসসি মেম্বার শুভজিৎ দে, 5 নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রভাত বিশ্বাস সহ পৌরসভার বিভিন্ন ধরনের সাফাই কর্মীরা।
আজকের এই সাফাই অভিযান প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান , পৌর এলাকায় প্রতিদিন ধারাবাহিকতার সাথে পুরসভা তত্ত্বাবধানে নির্মল বাংলা অন্তর্ভুক্ত সমস্ত সাফাই কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকেন। তবে আজকে বিশেষ দিন উপলক্ষে তা খতিয়ে দেখা। তবে বিপুল সংখ্যক নাগরিক সচেতনতা ছাড়া এই উদ্দেশ্য সফলতা লাভ করতে পারবে না। তাই সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
হাসপাতাল সুপার ডক্টর তারক বর্মন বলেন, বিভিন্ন ধরনের রোগমুক্তির ভরসা স্থল হাসপাতাল পরিষ্কার থাকা দরকার। এ বিষয়ে বিধায়ক চেয়ারম্যান সকলেই তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে নিয়মিত সাফাই প্রক্রিয়া চলে তবে আজ সকলে এসে এক ঘন্টা শ্রম দেওয়ার ফলে আরো পরিষ্কার হয়ে উঠলো হাসপাতাল।
যদিও স্থানীয় মানুষজনের কাছ থেকে জানা যায় শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এখনও পর্যন্ত জঞ্জাল মুক্ত হতে পারেনি। বাড়ি বাড়ি থেকে পরিত্যক্ত আবর্জনা সংগ্রহ 12 টি ওয়ার্ডে হলেও বাকি 12 টি ওয়ার্ডে এখনো চালু হয়নি , এবাদেও সাফাই কর্মীর সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। নিয়মিত পরিষ্কারের বিষয়ে আরও তৎপর হওয়া উচিত পুরসভার। যদিও এ বিষয়ে পুর কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে জানা যায় , আগের থেকে সংখ্যা অনেক বেড়েছে তবে আরো প্রয়োজন সেদিকে নজর রেখেছে পুরসভা।