সোশ্যাল বার্তা,নদীয়া : জলঙ্গী নদী কে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগরের তথা সমগ্র নদীয়া জুড়ে শুরু হয়েছে নদী বাঁচানোর আন্দোলন, সাধারণ মানুষও এগিয়ে আসছে সেই আন্দোলনে। সমগ্র ডিজিটাল ও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক জুড়ে চলছে প্রচার। দেখা যাচ্ছে ভিন্ন আঙ্গিকে সেই সকল নদী বাঁচানোর পোষ্ট, গুণগত মান সম্পন্ন পোষ্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ।
নদীর অবিরল ধারা যাতে বইতে পারে তার জন্য দীর্ঘ কয়েক মাসে “জলঙ্গী নদী সমাজ” নামে নদীয়ার কৃষ্ণনগরের এক সেচ্ছাসেবী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে সাড়া ফেলেছে জনমানুষের মধ্যে। সংস্থাটির উদ্যোগে গত মার্চ মাস এর গোড়া থেকেই চলছে দেওয়াল লেখার মাধ্যমে বিভিন্ন্ রাজনৈতীক দলের কাছে নদী ও পরিবেশ রক্ষার আবেদন নিবেদন এছাড়াও সকল রাজনৈতিক দলের বিধানসভার প্রার্থীদের কাছে “জলঙ্গী নদী সমাজ” এর নদীকে নিয়ে নির্দিষ্ট করে দাবী পেশ।
বিজেপি, টি.এম.সি, সংযুক্ত মোর্চার সকল প্রার্থীরাই এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং সেই দাবী কে পূর্ণ করার আশ্বাস দিয়েছেন। শনিবার নদীয়ার কৃষ্ণনগরের গভমেন্ট কলেজ মাঠে ছিল বিজেপির সমাবেশ। সেই সভা থেকে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র ভাষণেও শোনা গেল সেই “জলঙ্গী নদী” ও “অঞ্জনা নদী” সংস্কারের কথা।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে সাধারণ মানুষ ও “জলঙ্গী নদী সমাজ” সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও খুবই অভিভূত।
“জলঙ্গী নদী সমাজ” এর এক সদস্য কৌশিক সরকার জানান জলঙ্গী নদী ও অঞ্জনা নদীর দুরবস্থার কথা ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছেছে তাই প্রাথমিক ভাবে এই বিষয়ে আমরা সাধারণ কৃষ্ণনগরিক হিসাবে আপ্লুত এবং একজন নদী কর্মী হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদী জির কাছে আবেদন ভবিষ্যৎ এই নদী দুটির যেন সমান গুরুত্ব দিয়ে সংস্কারের কাজ খুব দ্রুততার সাথে শুরু করা যায়। দ্রুততর থাকে কাজ শুরু না হলে কৃষ্ণনগর এর লাইফ লাইন এই ২ নদীর সাথে বাস্তুতন্ত্রেরও খুব বিপদ ঘটবে”।
জলঙ্গী নদী সমাজ এর একজন সদস্য বলেন- এই কাজ সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় করতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ মানুষ কেউ, আর এক বন্ধু সংগঠন তারাও এই একই কাজ তাদের মত করে করছেন, তাদেরও সমান কৃতিত্ব রয়েছে।