প্রীতম ভট্টাচার্য: অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ২৩ শে সেপ্টেম্বর শনিবার কৃষ্ণনগর শিশু উদ্যান প্রাঙ্গনে জলঙ্গী নদী সমাজের কনক্লেভ ২০২৩ ।
বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠান শুরু করতে একটু দেরী হলেও, মানুষ জুড়েছে নদীর টানে। নদীয়া – মুর্শিদাবাদের প্রাণের ধারা জলঙ্গী নদীর স্বাস্থ্য ফেরাতে জড়ো হয়েছিলেন কোলকাতা, মুর্শিদাবাদ,ব্যারাকপুর, শান্তিনিকেতন, চাকদা কাঁচড়াপারা,দত্তপুলিয়া,শান্তিপুর, বীরনগর,করিমপুর,চাপড়া, বাহাদুর পুর,শম্ভুনগর,কালনা, শিমুলতলা, তেহট্ট,থেকে। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন এবং তাদের প্রতিনিধি সহ কৃষ্ণনগরের একাধিক স্কুল ও সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন প্রায় দেড়শোর বেশি মানুষ। তবে পথচলতি বেশ কিছু মানুষও সতঃস্ফূর্ত ভাবে জুড়ে ছিলেন নদীর জন্য আলোচনায়। মৎস্যজীবীদের পক্ষ থেকে শ্রীহরি হালদার, কৃষিজীবী মানুষের প্রতিনিধি শ্রী জগন্নাথ ঘোষ আলোচনা করেন।
মুর্শিদাবাদের সদস্য ও প্রতিনিধি বলেন ভৈরবের খনন শুরু আর অসমাপ্ত থাকার কথা। জলঙ্গী নদী সম্পর্কে সরকারের উদাসীনতার কথা বলেন কোলকাতা থেকে আসা সদস্য শ্রী বর্নব চক্রবর্তী। তিনি নদী আন্দোলনের সাথে তুলে ধরেন ১৬ বিঘা বসতির পুকুর বাঁচানোর কথা। দীর্ঘ্য দিন ধরে সংগঠিত করা সিলিকোসিস আন্দোলনের সফলতার দিকটিও। এছাড়াও যশোর রোড গাছ বাঁচাও আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তার কথা। সাবলীল ভঙ্গিতে উপস্থিত মানুষকে শ্রেণী বিভাজনের ক্ষতির দিক এবং অসংগঠিত মৎস্যজীবি, কৃষিজীবি শ্রেণীকে সংগঠিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
করিমপুর থেকে আসা শ্রী সমিত দত্ত তার নিজের সৃষ্টি জলঙ্গী নদী সমাজের প্রত্যয়ের গানটি নিজের কণ্ঠে গাইলেন এবং সকলের মন জয় করলেন। দ্বিতীয় পর্বে বিখ্যাত চিত্র পরিচালক শ্রী প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে সকলে মিলে দেখলেন তার তথ্যচিত্র “শিকড়”।