প্রীতম ভট্টাচার্য : শুভংকর প্রামানিক, বাড়ি মেদিনীপুর, বর্তমানে ভবানীপুরে থাকা । একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত। ছবি আঁকাটা নেশা,ভালো লাগা। ছোটোবেলা থেকে আঁকাটা সম্পুর্ন একটা আলাদা অচেনা কিন্তু আকর্ষণীয় জগৎ ছিলো। কখনো শেখা হয়নি কারোর কাছে। মেদিনীপুরে গ্রামের স্কুলে যখন পড়াশোনা করা হয়,তখন ক্লাসে সহপাঠীদের থেকে উৎসাহ পাওয়া যেত,ভাই তুই আঁকা টা প্র্যাক্টিস কর তোর হবে। ওভাবেই বছর কয়েক কাটার পর, কলকাতায় আসা হয় আশুতোষ কলেজে পড়াশুনোর জন্য,সেকেন্ড ইয়ারে পড়াকালীন মাথায় চাপে আর্ট কলেজ। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে আর হয়ে ওঠেনি। আমাদের বঙ্গে চাকরি টা বড় কথা, স্বাধীনভাবে বাঁচা নয়। কলেজ পাশ করার পর আর মাষ্টার্সের মুখোমুখি হয়নি। স্থির করা হয় এই পথই বেছে নেবে । সেই থেকেই পথ টা এ পারেই। টুকটাক আঁকাআঁকি করা হয়,মাঝে মধ্যে কিছু হাতের কাজ, তবে লক্ষ্য একটাই মানুষের জন্য ছবি আঁকা। তেমনই ছবি আঁকার পাশাপাশি মাটি গড়ে ফেললো ১/১ ইঞ্চির সরস্বতী। প্রথমে নিজেও কিছুটা হতবাক, তারপর সকলে যখন এই কাজ দেখে তার প্রশংসা করছে, তখন কিছুটা ভুল ভাঙলো। ছবি আঁকার পাশাপাশি এই রকম নান্দনিক সৃষ্টি সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।