ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখাতে স্কুলের দুয়ারে বিড়লা তারামণ্ডলের মোবাইল সাইন্স এক্সজিবিশন বাস ঘুরে বেড়াচ্ছে নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে

Social

মলয় দে নদীয়া :- পাঠ্যপুস্তক থেকে বিজ্ঞান শেখা আর হাতে কলমের মধ্যে শেখার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। তাই ২০২০ শিক্ষানীতি অনুযায়ী  শিক্ষণ পদ্ধতি আমুল পরিবর্তিত হচ্ছে।

যদিও বিজ্ঞান চেতনায় বহু বছর আগেই এ বাংলা সর্বশ্রেষ্ঠ। প্রায় ৬০ বছর আগে, কলকাতার বালিগঞ্জ গুরুসদয় রোডে ভারতের প্রথম সায়েন্স মিউজিয়াম স্থাপিত হয়, ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের উদ্যোগে।
১৯৬৬ সালে বিড়লা ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামের তৎপরতায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেনের উদ্যোগে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলে মোবাইল সায়েন্স এক্সিবিশনের ব্যবস্থা হয়েছিলো। এটি দেশের বৃহত্তম এবং দীর্ঘতম ভ্রাম্যমান বিজ্ঞান প্রচার যান হিসেবে পরিচিত ।
তবে বিজ্ঞান চেতনা বৃদ্ধির সাথে সাথে, পুরুলিয়া বর্ধমান পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা এ ধরনের জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ বাস নিজ নিজ জেলায় বিভিন্ন বিদ্যালয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান প্রচার ও প্রসার করে যাচ্ছে আজও। তবে যে জেলায় এ ধরনের ব্যবস্থা নেই, সেক্ষেত্রে কলকাতা বালিগঞ্জের মূল অফিস থেকে আনুমানিক ৩০ টি বাস এ রাজ্য এবং ভিন রাজ্যেও প্রচারকার্য করে থাকে।
সম্প্রতি ২৭শে জুলাই থেকে ১৪ ই আগস্ট পর্যন্ত সময় সময় নিয়ে এ ধরনের একটি বাস উত্তর চব্বিশ পরগনা বিভিন্ন প্রান্ত সেরে নদীয়ার ফুলিয়া এবং অবশেষে শান্তিপুর আসে শান্তিপুর মরমীর তত্ত্বাবধানে । এরপর ১৬ই আগস্ট থেকে গ্রাম এবং শহরের মোট সাতটি বিদ্যালয় পরিক্রমা করবে বলেই জানায় বর্তমান তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনের পক্ষ থেকে রূপায়ণ চৌধুরী।
ওই বাসের কর্মকর্তারা জানান, যদিও এর আগেও তারা একবার এসেছিলেন শান্তিপুরে। তবে বিজ্ঞান, ভূগোল গণিত জীববিদ্যা এবং মহাকাশ এ ধরনের বেশ কিছু বিষয়ের বাস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, চক দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে বোঝানোর থেকে এ ধরনের বিষয় সামনে আসলে ছাত্রছাত্রীরা আগ্রহের সাথে তা শিখতে পারে।
অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীরাও আপ্লুত তারা, নিজেদের মধ্যে গ্রুপ মনিটর হিসাবে প্রথমে বিষয় উপস্থাপনা শিখে নিয়ে নিজেরাই নিচু ক্লাসের ছেলেমেয়েদের শেখাচ্ছে।
তবে অভিভাবকরা অত্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারছি ঠিকই তবে বিজ্ঞান চেতনা পৌঁছানো দরকার সকলের মাঝেই তাই আগামী দিনে যদি তাদেরও সুযোগ দেওয়া হয় কিংবা হ্যান্ড বিল বা অন্য কোন উপায়ে বিষয় উপস্থাপিত করা হয় তাহলে তারা আরো খুশি হবেন। ‌ আজ শান্তিপুর বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয় এ ধরনের ভ্রাম্যমান বাস থেকে শিক্ষা লাভ করে ছাত্রছাত্রীরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও তাদের বিভিন্ন বিষয়ে উপস্থাপিত করে তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করে।

Leave a Reply