মলয় দে, নদীয়া;-আজ মহাসপ্তমী, রাবণ পূজিত দুর্গাপুজো তো দুর্গাপুজো এটাই ছিল! পরবর্তীতে রাবণ বধে অকালবোধন করেন রামচন্দ্র। আর আমরা বেশিরভাগই জয়ী রামচন্দ্রের পথ অনুসরণ করলেও, কতিপয় মানুষ আজও শরৎ নয় বসন্তেই করেন দুর্গাপুজো।
অন্য বছর এদিনে সাজো সাজো রব থাকে পূজাকে কেন্দ্র করে। চাঁদা তোলা, নতুন জামা কাপড়, বাজনা, অষ্টমীর ভোগ প্রসাদ বিতরণ , সন্ধ্যাআরতী, হোম কত কিছু! কিন্তু এবছর ঘটনায় গ্রাস করেছে মায়ের পুজোও। তাই ঠাকুরমশাই কেউ দেখা গেল মাস্ক পরিহিত অবস্থায় পুজো করতে। নদীয়া জেলার শান্তিপুরে তিন-চারটে পুজোর চল থাকলেও সবচেয়ে প্রাচীন প্রায় ৪০০ বছরের পুরাতন বুড়োশিবতলা বাসন্তী পুজো এলাকার বয়স্কদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রশাসনিক ছাড়পত্র পেয়ে কোনরকমে আয়োজন পুজোর। পূজার জোগাড়ের জন্য দুজন মহিলা, একজন পুরোহিত, এবং একজন পুজো কমিটির, এই ৪ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলো এবছরের বাসন্তী পূজা।
পুজোর দক্ষিণা হিসেবে বা চাঁদা কোনোটাই নেওয়া হয়নি ভক্তবৃন্দ কাছ থেকে। পূজামণ্ডপে উপস্থিত থাকতে বারণ করা হয়েছে রীতিমতো।