বাণী বন্দনায় ক্লাব শহর এর বিষয় বাঁচাও সার্কাস

Social

প্রীতম ভট্টাচার্য , নদীয়া : এ পথে তারা অনেকদিন। এ পথ রোজের। এ পথ তাদের কাজের।খই ভাজারও বই কি! সেই পথকেই আপাদমস্তক রুটম‍্যাপে ছকে ফেলেছে তারা। গুগুল কে এভাবে ঘুরপথে শহর চেনাতে গত ২৬ শে জানুয়ারি শহুরেরা সকাল সকাল প্রজাতন্ত্রে যোগ দিয়েছে। । ভ্রমণ শেষে লজেন্স-গাঠিয়া পাওয়ার আশা ছেড়ে দেওয়াই ভালো!

এই অক্লান্ত পরিশ্রমের পর একদিন ছুটি না নিলেই নয়!তাই তারা কোমর বেঁধে মেয়ের বিয়েতে নেমেছে ২৮শে জানুয়ারি।সেদিন-সেরাত মূলত সুরপ্রধান। থাকছে প্রথাগত থেকে নবাগত সকলেই।হাইলাইটস কিছুটা এরকম—-খুব চেনা ‘অস্তিত্ব’,বাঁধ ভাঙা ‘মুর্শিদি’,ইচ্ছেডানা ‘The Wild Wings’এছাড়াও আন্তরিক স্বজনরা তো আছেই।

শহরের এবার দশ বছরের বার্থডে।সেই সুবাদে এবছরের সরস্বতী পুজো শহুরিয়ানদের কাছে স্পেশাল।২৯শে এর সর্বোচ্চ প্রয়োগ।সকালে শুরু হয়েছে কচিকাচাদের সঙ্গে,তাদের স্কুল ব‍্যাগ বিতরণের সাথে মধ‍্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন এ দিনের অন‍্যতম কর্মসূচি।’পিউলি’ এবার প্রথম কথায় কন্ঠে শহর মাতাতে আসছে এই সন্ধ্যায়। থাকছে কর্মযজ্ঞ: যার আগুনে ঘৃতাহুতি দেবে প্রায় ভুলে যাওয়া,ডাইনোসর এর মত লুপ্তপ্রায় ‘সার্কাস’। সার্কাস -ই এ বছরের থিম ক্লাব শহরের।জোকার থেকে ম‍্যাজিশিয়ান থাকবে এই সন্ধ্যায়।

হাত ধরে চলে আসুন (কার!বসন্ত এসে যাবে) দেখতে দেখতে টাইম মেশিনে চলুন ঘুরে আসি ছোটবেলায়! তারপর না হয় ভেবে দেখব সার্কাসের লোকগুলোর কাজ না থাকলে ওদের ভাতের হাড়ি চড়বে কী করে!!
পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সার্কাসও হঠাৎ করে রূপকথা হয়ে যাবে নিমেষেই ,ভাবতে কেমন লাগছে?

শহর এর এই অন্যরকম ভাবনায় খুশি বৃষ্টিভেজা শহরের কৃষ্ণনাগিকেরা।

Leave a Reply