মলয় দে নদীয়া:-সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগত বিখ্যাত রাস উপলক্ষে বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়ি এবং বড় গোস্বামী বাড়ি উপস্থিত হন, সেখানেই মত প্রকাশ করেন ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্বলিত বহু পুরাতন শহর এই শান্তিপুর কে হেরিটেজ শহর হিসেবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার। পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার লক্ষ্যে,সেজে উঠছে শান্তিপুর “আমার ভালোবাসার শহর শান্তিপুর” এর পর আবারো চমক, বিশ্ব বাংলার লোগো স্থাপন, শান্তিপুর পৌরসভার উদ্যোগে, রবীন্দ্র কাননে।শান্তিপুর পৌরসভাও সময়ের বিচারে রাজ্যের দ্বিতীয় পুরাতন।
অন্যদিকে সমস্ত পৌরসভা গুলিকে নিয়ে নগর উন্নয়ন দপ্তরের পরিকল্পনা রূপায়ণের একটি কমিটিতে এবং অপর একটি এক্সিকিউটিভ কমিটিতে রয়েছেন বর্তমান শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। স্বভাবত তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন, বাড়তি বেশ কিছু বরাদ্দ শান্তিপুরের জন্য নিয়ে আসা অনেকটাই সহজ হয়েছে।
শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডে পৌর স্টেডিয়ামের মূল পথে শ্রীচৈতন্যদেবের মূর্তি, কলা তীর্থের সামনে রামমোহন রায় এবং বিদ্যাসাগরের মূর্তি, শহরে নিকাশি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, বেশ কয়েকটি পার্ক, রাস্তা হাই মার্স লাইট, বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে পানীয় জল সরবরাহের সংযোগ এ ধরনের বেশ কিছু উদ্যোগ ইতিমধ্যেই দেখা গেছে। অন্যদিকে বাড়ি বাড়ি সংগ্রহীত পচনশীল এবং অপচনশীল বজ্র সংগ্রহের মাধ্যমে রিসাইকেলের একটি সরকারি প্রকল্প কার্যকরী হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। অন্যদিকে সমস্ত নিকাশির জল পরিশুদ্ধ করে চাষের কাজে লাগানো এবং ড্রেনে নিমজ্জিত কর্দুমাত্র মাটির সার হিসেবে ব্যবহারের অপর একটি পরিকল্পনা কার্যকরী ঘটে চলেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে পৌর স্টেডিয়ামের সামনে একটি মিউজিয়াম, শহরের দুই প্রান্তে আরো দুটি গেস্ট হাউস, শহরের প্রবেশ এবং বাহিরদ্বারে তোরণ, হেরিটেজ লাইট সহ আরো কত অনেক কিছু আসতে চলেছে আগামীতে।
অন্যদিকে, বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীও তার বিধায়ক কোটা , রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীর সাথে সুসম্পর্কের কারনে, বেশ কয়েকটি শান্তিপুরে উন্নয়নের কথা জানিয়েছিলেন আমাদের।
এই সব মিলে, যে শান্তিপুর আবারো জগত সবার মাঝে শ্রেষ্ঠ আসন নেবে,সেই আশাতেই বুক বেঁধেছে শান্তিপুরবাসী।