মলয় দে নদীয়া :- নদীয়ার শান্তিপুরের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী অরুণ ঘোষের পাঁচ বছরের নাতির জন্মদিন ধুমধাম করে পালিত হবে এটাই ছিলো স্বাভাবিক। কিন্তু গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকট মেটাতে এবং ব্যবসায়িক ব্যস্ততায় সময় না পাওয়া সামাজিক মূল্যবোধের ঘাটতি থেকে পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেয় প্রান্তিকদের বস্ত্র উপহার এবং আমন্ত্রিতদের রক্ত গ্রহণ।
এই উপলক্ষে শান্তিপুরে সামাজিক সংগঠন সেতুকে যাবতীয় আয়োজনের দায়িত্বভারদেন পরিবার। বেলুন ফুল দিয়ে সুসজ্জিত বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথি আত্মীয়-স্বজন পরিজন
ধান দূর্বা দিয়ে পাঁচ বছরের অদ্রিশকে আশীর্বাদ করেই, হাত লাগান বস্ত্র দানে। এরপর শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী রক্তদান।
আমন্ত্রন রক্ষা তো বটেই ছোট্ট অদ্রিসকে আশীর্বাদ করা এবং তাদের পরিবারের এই শুভ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে ছুটে আসেন শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ।
অন্যান্য আমন্ত্রিদের মধ্যে তিয়াসা ঘোষ জানান, অদ্রীশের সাথে, তাদের মেয়ে পড়াশোনা করার সুবাদে পাঁচ বছরের জন্মদিনে এ বাড়িতে আসা। আমন্ত্রণের চাহিদা অনুযায়ী উপহার হিসেবে তার স্বামী শুভ ঘোষ আজ দিয়েছেন রক্ত।
অদ্রীশের মা শিম্পা ঘোষ জানান, তার স্বামী অর্ঘদ্বীপ ঘোষ বেশ কয়েকবার রক্ত দিলেও, তার দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল না । ছেলের জন্মদিনের সুবাদে, সমস্ত প্রসূতি মায়েদের এবং অসুস্থ রোগীদের কথা মাথায় রেখে এই প্রথম সাহস করে রক্ত দিলেন তিনি। আত্মীয় পরিজনদের এবং আমন্ত্রিতদের মধ্যে থেকে মোট কুড়িজন রক্ত দিয়েছেন আজ। প্রান্তিক পরিবারদের, কিছু বস্ত্র দিতে পেরে, অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছে পরিবার। তাই তিনি বলেন এর পরবর্তী দিনে এভাবেই পালিত হবে তার সন্তানের জন্মদিন।
শান্তিপুরের সামাজিক সংগঠন সেতুর পক্ষ থেকে রুহুল্লা কারিগর বলেন, অতীতে অনেকেই রক্তদান প্রয়োজন মনে করলেও এগিয়ে আসতেন না। কিন্তু বর্তমানে সে অন্ধকার ঘুঁচে ক্রমেই আলোর দিকে। তবে ইদানিং অন্নপ্রাশন জন্মদিন বিবাহ এ ধরনের অনুষ্ঠানেও সামাজিক দায়িত্ব পূরণ প্রশংসাযোগ্য।